ঢাকা: শরতের আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ। জোছনা ছড়ানো সেই চাঁদের দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছে শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে।
লালনের ভাববানীর সুরের সুধার সাথে শ্বেতবর্ণের আবরণে আচ্ছাদিত বাউলদের জমকালো উপস্থিতি মুগ্ধতার চাদর বিছিয়ে দেয় গোটা শিল্পকলা একাডেমিতে।
পূর্ণিমা তিথির সাধুসঙ্গের নিয়মিত বাউল গানের আসরে এমন দৃশ্যকল্পই চিত্রিত ছিল পুরা শিল্পকলা একাডেমিজুড়ে। শনিবার সন্ধ্যায় বসে সুরের এই আসর চলে রাত দশটা পর্যন্ত।
রাজধানীর পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বাউলরাও তাদের পরিবেশনা অব্যাহত রাখে সুরের এই আসরে।
আসরে আয়নাল হক বাউল পরিবেশন করেন রাসুলের দীন সত্য মানো, আঁখি আনজুম পরিবেশন করেন ধন্য ধন্য বলি তারে, পলি বাউল পরিবেশন করেন রঙ মহলে সদায় ঝলক দেয়, করিম বাউল গেয়ে শোনান আপন মনের বাঘে যারে খায়, মোঃ জাকারিয়া শেখ শোনান গুনে পরে সারলি দফা, রুমা বাউলের কন্ঠে গীত হয় মিছে মায়ায় মজিয়ে মন,লাভলী শেখের কণ্ঠে গীত হয় জেনে শুনে রাখো মনে, বাউল গরিব মুক্তার শোনান এসেছো হে গৌর জীব তরাইতে, ডলি মণ্ডলের কণ্ঠে গীত হয় করি কেমনে সহজ শুদ্ধ প্রেম সাধন, এলিজা পুতুল পরিবেশন করেন সাধ্য কিরে আমার সে রূপ চিনিতে।
জেলা পর্বে সংগীত পরিবেশন করেন কুষ্টিয়ার জামাল উদ্দীন টুনটুন ফকির, মানিকগঞ্জের কিরণ চন্দ্র রায়, মাগুরার সমির বাউল ও বাগের হাটের এ বি সিদ্দিক।
দলীয়ভাবে বাউল গান পরিবেশন করেন বাউল সেন্টু গাজী, বাউল আব্দুল মান্নান তালুকদার, বাউল নাবিয়া মিতুল, বাউল উমর আলী, বাউল সবর্ণা আক্তার, বাউল পাপিয়া পারুল, বাউল ফারুক নূরী, বাউল টিটু, বাউল সেলিম হোসেন, বাউল শাহীন, বাউল আবু বক্কর, বাউল সোলেমান শেখ, বাউল নুর ইসলাম শেখ, বাউল তানিয়া, বাউল সাহেদ আলী, বাউল কৃষ্ণ, বাউল জীবন, বাউল ইমন, বাউল ফারুক, বাউল সুমি ও বাউল মিরাজ।
একক ও দলীয় পরিবেশনায় শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে মূর্ত হয়ে উঠে লালন ফকির। সুরের বন্যায় ভেসে গিয়ে মোহনীয়তার সমুদ্রে ঝাঁপ দেয় রাজধানীর সুরপিয়াসিরা।
এর আগে সসংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক সোহাইলা আফসানা ইকো। এতে আলোচক ছিলেন ড. আবু ইসহাক হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২২
এইচএমএস/এএটি