ঢাকা: সনজীদা খাতুনকে সভাপতি এবং ড. আতিউর রহমানকে নির্বাহী সভাপতি করে জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের ৬১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এবারের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদে এসেছেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী শর্মিলা বন্দোপাধ্যায়, কোষাধ্যক্ষ পদে এসেছেন নাসেহুন আমীন।
রোববার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সারা দেশের ৫০টি শাখা থেকে রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের প্রতিনিধিরা সেখানে অংশ নেন।
এ দিন ছিল ৪০তম জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলনের সমাপনী দিন। দিনের আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের নির্বাহী সভাপতি ড. আতিউর রহমান। সূচনা বক্তব্য দেন বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী বুলবুল ইসলাম।
দুই গুণীর শংসাবচন পাঠের সময় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনজুড়ে শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পীরা। বিনম্র শ্রদ্ধায় তারা স্মরণ করেন সংস্কৃতি ক্ষেত্রে তাদের অনন্য ভূমিকার কথা। এদিন জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের ‘রবীন্দ্র পদক’ পান প্রয়াত দুই রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ও সংগঠক মিতা হক ও নীলোৎপল সাধ্য। সম্মাননা গ্রহণ করেন মিতা হকের মেয়ে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ফারহিন খান জয়িতা ও নীলোৎপল সাধ্যের স্ত্রী ঝর্ণা মল্লিক।
এর আগে গত শুক্রবার সকালে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আকরম হোসেন এবারের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। রবিবার বিকেলে এবারের সম্মেলনে রবীন্দ্রসংগীত প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এবারের জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলনে কিশোর বিভাগ ও সাধারণ বিভাগে রবীন্দ্রসংগীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কিশোর বিভাগে ‘অনন্য মান’ পেয়েছেন ময়মনসিংহের আনুস্কা চক্রবর্তী, সাধারণ বিভাগে ‘অনন্য মান’ পেয়েছেন পূরবী দে সিমন্তি। এদের হাতে ‘জাহিদুর রহিম স্মৃতি পুরস্কার’ তুলে দেন অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং ড. আতিউর রহমান।
কিশোর বিভাগে প্রথম মান পেয়েছেন ১৭ জন প্রতিযোগী, দ্বিতীয় মান ৬ জন, সাধারণ মান পেয়েছেন ৫ জন। সাধারণ বিভাগে প্রথম মান ৯ জন, দ্বিতীয় মান ৯ জন, সাধারণ মান পেয়েছেন তিন জন প্রতিযোগী।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২২
এইচএমএস/এমজেএফ