স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন প্রবাসী বাঙালিরা। সমবেত সকলে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’- গানের সুরে সুরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন শহীদ মিনারের বেদিতে।
প্রবাসীরা ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে বেড়াতে আসা বাঙালিরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ও শিশুদের উপস্থিতিতে তৈরি হয়েছিল এক খণ্ড বাংলাদেশ।
পার্থের বাঙালিদের জন্য শহীদ মিনারের অভাব ছিল। ২০১০ সালে প্রবাসী বাঙালি বিশ্বজিৎ বসু নিজ হাতে একটি শহীদ মিনার তৈরি করে নিজের বাড়ির সামনে স্থাপন করেন। সে বছরই পার্থের বাঙালিরা প্রথমবারের মতো প্রবাসে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে একুশ পালন করেন। এরপর থেকে প্রতি বছরই এ আয়োজন চলে আসছে।
একুশের এবারের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন প্রবীর সরকার, কামরুল আহমেদ, জহিরুল বাতেন, নাসরীন আলম, সোনিয়া চৌধুরী, দেবাশীষ সাহা, মিতুল দাস, নাজমে আরা মৌসুমী, রাজিয়া পাপিয়া, দীপক সরকার, শহিদুল্লা চৌধুরী, বিদ্যুৎ বণিক, বিশ্বজিৎ বসু প্রমুখ।
ঘরোয়া আলোচনায় সকলে বাংলাদেশের একুশের স্মৃতিময় দিনগুলোর কথা স্মরণ করে প্রবাসে এ আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
তারা বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির শোকের হলেও গর্বের দিন। এই দিনে বাঙালি জাতি হারিয়েছে তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের, সে শোককে শক্তিতে পরিণত করে পেয়েছে স্বাধীনতা। দিনটি স্বীকৃতি লাভ করেছে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
এএসআর