ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

৩য় টার্মিনালের সফট ওপেনিংয়ের পর যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০২৩
৩য় টার্মিনালের সফট ওপেনিংয়ের পর যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে সংবাদ সম্মেলনে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মো. মুফিদুর রহমান। ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মো. মুফিদুর রহমান বলেছেন, অনেকের প্রশ্ন, সফট ওপেনিংয়ের পরে আমরা কি পেতে যাচ্ছি! আসলে সফট ওপেনিংয়ের মাধ্যমে আমাদের যে পরিকল্পিত কাজ, সেটা শেষ হলো। এবং এর মাধ্যমে আমাদের সুবিশাল টার্মিনালটা প্রস্তুত হয়ে গেছে।

ইক্যুইপমেন্টগুলো লেগে গেছে। আমাদের চেকের থেকে শুরু করে ইমিগ্রেশন, তারপরে সিকিউরিটি, সব ধরনের যন্ত্রপাতি লেগেছে।

সোমবার (০২ অক্টোবর) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে বেবিচক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মো. মুফিদুর রহমান বলেন, অনেক বিশাল-বিশাল এস্কেলেটর, লিফট লেগে গেছে। এখানে ব্যাগেজ হ্যান্ডেলিং সিস্টেম লেগে গেছে। এবং এখানে যে ইমিগ্রেশনের সঙ্গে অন্যান্য ইনফরমেশন আদান-প্রদান, এগুলোর ইক্যুইপমেন্টগুলো লেগে গেছে। এবং অনেকগুলো বোর্ডিং ব্রিজ বসে যাচ্ছে। এবং কিছু-কিছু জায়গায় সংস্থাপন পর্যায়ে আছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ফিজিক্যাল কাজ কিন্তু শেষ। এখন বাকি ১০ শতাংশ কাজের মধ্যে কিন্তু এই পার্টগুলো আসে।  কিছু-কিছু ইন্টেরিয়রের কাজ বাকি আছে। এই কাজগুলো আসবে। এই কাজগুলো আমরা সফট ওপেনিংয়ের পর শুরু করব। এই ইন্টেরিয়রের পার্ট, ক্যালিব্রেশনের পার্ট, ফাংশনাল পার্ট এগুলো আমরা করব।

ছবি: জি এম মুজিবুর

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা জানেন, এই বিমানবন্দরের দায়িত্ব আপাতত আমরা ঠিকাদারের কাছ থেকে বুঝে নেব। এরপর, টার্মিনাল ১ এবং ২ থেকে আমাদের যে অপারেশনটা, কীভাবে এই বিমানবন্দরটা অপারেশন শুরু করা যায় সেই প্রক্রিয়াটা আমরা শুরু করব। এই প্রক্রিয়াটার নাম অরাট (অপারেশনাল রেডিনেস অ্যাক্টিভেশন অ্যান্ড ট্রানজিস্টন)। এই প্রক্রিয়াটা আমরা সফট ওপেনিংয়ের পর চালু করব। আমরা যদিও বলছি আগামী বছরের শেষ নাগাদ এটা ফাংশনাল করব, আমাদের চেষ্টা থাকবে তার আগেই এই বিমানবন্দরটা যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করতে পারব।

তিনি আরও জানান, আমাদের এখানে আমদানি-রফতানি কার্গো টার্মিনাল হয়েছে, পাশাপাশি থাকবে বিশাল অ্যাপ্রোন। যেখানে বিমান থাকবে। পরশুদিন থেকে দেখবেন এখানে বিমান রাখা হবে। এরপর আমরা এখানকার রানওয়ের ব্যবহার শুরু করেছি। সফট ওপেনিং হওয়ার পরে আমরা এগুলোকে অপারেশনাল করার জন্য অফিসিয়ালি কাজ শুরু করব।

ছবি: জি এম মুজিবুর

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই আমরা প্রকল্প উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। যখন প্রকল্প শুরু হলো, তখন মহামারি শুরু হয়ে গেল। এই মহামারি চলাকালীন অবস্থায় এই একটা প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন থেকে সরে যাইনি।  

এ সময় নির্মাণকাজে জড়িত সকল প্রতিষ্ঠানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম, বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল মালেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২৩
এমকে/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।