ঢাকা: দক্ষিণ কোরিয়ান এয়ারলাইন্স-জিন এয়ার এবার বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে নিয়মিত সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইতোমধ্যে এয়ারলাইন্সটি গত তিন বছরে ঢাকা এবং ইনচিওনের মধ্যে ১২১টি সফল বাণিজ্যিক চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় পতকাবাহী কোরিয়ান এয়ার গ্রুপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জিন এয়ার ইতোমধ্যে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে চলতি বছরের অক্টোবরে অনির্ধারিত বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনার আবেদন করেছে।
জিন এয়ার কর্তৃপক্ষ মনে করে বাংলাদেশ-কোরিয়া সরাসরি রুটটি প্রচুর সম্ভাবনাময়। তাদের মতে, বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এছাড়া কোরিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের চাহিদা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। পাশাপাশি দুই দেশের পর্যটক বিনিময় বাড়ছে দিন দিন।
কোভিড-১৯ মহামারিতে বিপর্যস্ত যখন বিশ্ব তখন কোরিয়া ও বাংলাদেশে সরাসরি বাণিজ্যিক চার্টার্ড ফ্লাইট চালু করে জিন এয়ার। এর ফলে, কোভিডে আটকে পড়া কোরিয়ান ও বাংলাদেশি উভয়ের কাছেই আশার আলো হয়ে দাঁড়ায় জিন এয়ার। এরপর জিন এয়ার সফলভাবে মোট ১১২টি সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। যাত্রী পরিবহন করছে ২৭ হাজার সাত জন, যার মধ্যে প্রবাসী কর্মীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ হাজার ১১৮ জন।
কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে জিন এয়ার কোভিড শুরুর পর থেকেই বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) চাহিদা পূরণ করেছে। এছাড়া বোয়েসেল তাদের দেওয়া প্রশংসাপত্রে বলেছে, জিন এয়ার থেকে অসামান্য এবং নিরবচ্ছিন্ন চার্টার্ড ফ্লাইট সহায়তা ছাড়া বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীদের দক্ষিণ কোরিয়ায় ভ্রমণ করা অসম্ভব। বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীদের নিরাপত্তা এবং পেশাদারিত্বকে অগ্রাধিকার দিয়ে জিন এয়ার তার চার্টার্ড বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালিয়েছে মাত্র ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে যেখানে কোনো অতিরিক্ত চার্জ আরোপ করেনি জিন কর্তৃপক্ষ।
জিন এয়ারের নিয়মিত ফ্লাইটের বিষয়ে বর্তমানে বেবিচক পর্যালোচনা করছে এবং জিন এয়ারকে সব প্রাসঙ্গিক অর্থ দেওয়ার বাধ্যবাধকতাগুলো ধারাবাহিকভাবে পূরণ করায় সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ফ্লাইট পরিচালনা করার জন্য অপারেটিং পারমিট দিয়েছে। শুধু তাই নয়, একটি বিশেষ চার্টার ফ্লাইট হিসেবে জিন এয়ার নিয়মিত ফ্লাইটের তুলনায় বিমানকে ৫০ শতাংশ বেশি ফি দিয়ে আসছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত জিন এয়ার থেকে অ্যারোনটিক্যাল চার্জ হিসেবে দুই কোটি ছয় লাখ ৬৬ হাজার ৫১৮ টাকা আয় হয়েছে৷
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৩
এমকে/এসআইএ