ঢাকা: রোববার(৫ এপ্রিল’২০১৫) প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরদিনই শুরু হওয়ার কথা ছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট। সে অনুয়ায়ী সোমবার সকাল ৭টা থেকে যাত্রীরা অপেক্ষা করতে থাকেন ফ্লাইটের জন্য।
সোমবার সারাদিন অচল ছিল বিমানের ময়ূরপঙ্খী। বিমান সূত্রে জানা গেছে, উড়োজাহাজের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র কাজ না করায় তা সচল করা যাচ্ছিল না। উড়োজাহাজের নিউম্যাটিক বাল্ব কাজ না করায় এটি অচল হয়েছে। মিশর থেকে আনা দুটি ড্যাশ ৮ কিউ ৪০০ নাম দেওয়া হয়েছে ময়ুরপঙ্খী ও মেঘদূত।
পরে বিদেশ থেকে নিউম্যাটিক বাল্ব আনা হলে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে সচল হয় উড়োজাহাজটি।
আকাশ পথে আকাশ ছোঁয়া ভাড়ার বিরুদ্ধে এক প্রকার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে যাত্রা শুরুর ঘোষণা দিয়েছিল বিমান। সেই ঘোষণা আর বাস্তবে রুপান্তরিত হওয়ার আগে হোঁচট খায় বিমান।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরদিনই বিমানের এই অচলাবস্থার কারণে সংস্থার উচ্চ পর্যায়ে টনক নড়ে। এ কারণে সোমবার বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাইল হেউড থেকে শুরু করে অধিকাংশ পরিচালক বিমানবন্দরে উদ্বিগ্ন সময় কাটান।
প্রায় আড়াই বছর পর সোমবার চালু হওয়ার কথা ছিল বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট। এক সঙ্গে ৭টি অভ্যন্তরীণ রুটে এক সঙ্গে ডানা মেলবে এমনই পরিকল্পনা ছিল।
ফ্লাইট চালাতে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স ৭৪ আসনের ড্যাশ-৮ কিউ-৪০০ উড়োজাহাজ লিজ নিয়েছে ইজিপ্ট এয়ার থেকে। এরই মধ্যে উড়োজাহাজ দুটি ঢাকা এসে পৌঁছেছে।
সপ্তাহে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ৬টি ফ্লাইট, ঢাকা-যশোরে ৫টি, ঢাকা-রাজশাহীতে তিনটি, ঢাকা-সৈয়দপুর ও ঢাকা-বরিশালে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করবে জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স। এর বাইরে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেটে সপ্তাহে ২৫টি অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনার রয়েছে। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেটে কানেক্টিং ফ্লাইট যথারীতি চালু থাকবে। প্রয়োজন হলে এসব কানেক্টিং ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৫
আইএইচ/এনএস/