বিমানবন্দর থেকে ফিরে: দীর্ঘদিন পর দুই মাসের ছুটিতে এসে লাগেজের খোঁজেই চলে যাচ্ছে দিন। আর এসব হচ্ছে সৌদি এয়ারলাইন্সের অব্যবস্থাপনার কারণে।
নোয়াখানীর নুর হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর সৌদিয়ার এসভি৩৮১৬ ফ্লাইটে নির্ধারিত সময়ের ৫ ঘণ্টা বিলম্বে রিয়াদ থেকে ঢাকায় আসতে পারলেও বুকিং দেয়া মালামাল পাইনি।
বিমানবন্দরে দায়িত্বপালনরত কর্মকর্তাদের কাছে তাৎক্ষণিক অভিযোগ করা হলে তারা দ্রুত বিষয়টি জানাবেন বললেও আজ এক সপ্তাহের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও কিছুই জানানো হয়নি।
অল্প ছুটির মূল্যবান সময় নস্ট করে এর মধ্যে ৩ দিন এয়ারপোর্টে গিয়েও কোন ফল হয়নি বলেও জানান নুর হোসাইন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর সৌদিয়ার এসভি৩৮৮২ ফ্লাইটে রিয়াদ থেকে ঢাকায় আসা নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ফ্লাইটের শতাধিক যাত্রীর মালামাল আসেনি। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার এয়ারপোর্টে এসে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেও মালামালের কোন হদিস পাইনি।
গত কয়েকদিন এয়ারপোর্ট ঘুরে দেখা গেছে, সৌদিয়ার মালের স্তুপ হয়ে আছে বেল্টের পাশের ফাঁকা জায়গায়। এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে মনিটরিং না করার কারণে সেখানে তৈরি হয়েছে বিশৃংখল পরিবেশ।
প্রবাসীদের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে বিমানবন্দরে কর্মরত সৌদিয়ার একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, সৌদি আরবে বর্তমানে আমাদের যাত্রীদের প্রায় ২০ কন্টেইনার মালামাল আছে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ফ্লাইটে মালগুলো চলে এলে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
জেডএম/