ঢাকা: যত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চীনা একটি এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ উড়াল দিয়েছিলে, অবতরণ করতে হলো তার চেয়ে একজন বেশি যাত্রী নিয়ে। যদিও ওই ‘অতিরিক্ত’ যাত্রী উড়োজাহাজের ওজনে কোনো পরিবর্তন ঘটায়নি।
সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার বালি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের উদ্দেশ্যে উড়াল দেয় চীনা একটি এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ। প্রায় ১৯ ঘণ্টার ওই পথে এয়ারলাইন্সে ছিলেন গর্ভবতী এক নারী।
কিন্তু তাইওয়ানের ওই নারীর হঠাৎ প্রসব বেদনা উঠলে বিপত্তিতে পড়েন সবাই। ছয়ঘণ্টা ধরে প্রসব বেদনা সহ্য করা ওই নারীর অবস্থা দেখে শেষ পর্যন্ত উড়োজাহাজটি আলাস্কার টেড স্টিভানস অ্যানকোরেজ বিমানবন্দরে অবতরণে বাধ্য হন পাইলট।
তবে এর আধঘণ্টা আগে উড়োজাহাজে থাকা এক চিকিৎসকের সহায়তায় ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ওই নারী। উড়োজাহাজটি তখন ত্রিশ হাজার ফুট ওপরে। এ সময় ওই চিকিৎসককে সাহায্য করেন উড়োজাহাজের এয়ার হোস্টেসরা। অবতরণের পর দ্রুত শিশু ও মাকে কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শিশুটি নির্দিষ্ট সময়ের আট সপ্তাহ আগে জন্ম নিলেও বর্তমানে মা-মেয়ে দু’জনই সুস্থ আছেন।
এদিকে, চায়না পোস্ট জানায়, চীনের উড়োজাহাজ হওয়ায় ও জন্মগ্রহণের সময় উড়োজাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় থাকায় শিশুটি কোন দেশের নাগরিক হবে সে বিষয়টি নির্ভর করছে আলাস্কার অ্যাঙ্কারেজ হাসপাতালের দেওয়া সার্টিফিকেটের ওপর।
ঘটনা যাই হোক, উড়ন্ত উড়োজাহাজে এ ধরনের ঘটনা বিরল। আর এ ঘটনায় উড়োজাহাজে থানা যাত্রীরা নিজেদের সৌভাগ্যবান ভাবতেই পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৫
জেডএস