ঢাকা: ট্রাভেল এজেন্টদের নিয়ে মিলনমেলা ‘দি রিকগনিশন কার্নিভাল’ এর আয়োজন করলো বেসরকারি খাতে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকার অদূরে ফ্যান্টাসি কিংডমে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় এই রিকগনিশন কার্নিভাল।
কার্নিভালে ঢাকা, যশোর, খুলনা, সৈয়দপুর, রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও রংপুর থেকে আসা ট্রাভেল এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম বিষয়ক পাক্ষিক পত্রিকা ‘দি বাংলাদেশ মনিটর’ এর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম।
কার্নিভালে ছিলো বিজনেস কনফারেন্স, ৠাফেল ড্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফানুস ফেস্টিভালসহ আরো অনেক আকর্ষণীয় ইভেন্ট।
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের ফয়েজ লেকএ চট্টগ্রাম ও সিলেটের ট্রাভেল এজেন্টদের নিয়ে একই ধরনের কার্নিভাল আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত বছরের ২৭ নভেম্বর পর্যটন নগরী কক্সবাজারে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ট্রাভেল এজেন্সি উদ্যোক্তাদের নিয়ে ‘কাস্টমার সাকসেস সামিট কক্সবাজার ২০১৫’ এর আয়োজন করে ইউএস-বাংলা।
বর্তমানে ৭৬ আসনবিশিষ্ট তিনটি ‘ড্যাশ ৮-কিউ৪০০’ এয়ারক্রাফট দিয়ে রাজধানী ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী ও বরিশাল রুটে প্রতিদিনই ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
বাংলাদেশে বিমান পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থায় ‘ড্যাশ ৮-কিউ৪০০’ নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, তাপানুকূল এবং অধিক আরামদায়ক আসন ব্যবস্থা সম্পন্ন এয়ারক্রাফট।
যাত্রা শুরুর পর থেকে অন-টাইম সার্ভিস, আন্তর্জাতিক মানের ইন-ফ্লাইট সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে যাত্রী সাধারণের কাছে একটি নির্ভরযোগ্য এয়ারলাইন্স হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
এরই ধারাবাহিকতায় যাত্রা শুরুর পর থেকে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে পর পর দু’বছর অভ্যন্তরীণ রুটে আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদান করায় সর্বশ্রেষ্ঠ এয়ারলাইন্স হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সঠিক সময়ে ফ্লাইট পরিচালনার রেকর্ড শতকরা প্রায় ৯৮.৭ ভাগ। যা দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে সর্বাধিক। যাত্রা শুরুর স্বল্পতম সময়ের মধ্যে প্রায় শতভাগ যাত্রীর সন্তুষ্টি লাভ করেছে এয়ারলাইন্সটি।
দেশীয় বিমান পরিবহনখাতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সই একমাত্র কোম্পানি যা আইএসও ৯০০১:২০০৮ সার্টিফাইড এয়ারলাইন্স। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটির ডিভিশন অব কর্পোরেশন এর একমাত্র তালিকাভুক্ত বাংলাদেশি এয়ারলাইন কোম্পানি। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে রয়েছে ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লাইয়ার প্রোগ্রাম “স্কাই স্টার”।
“ফ্লাই ফাস্ট-ফ্লাই সেফ” স্লোগান নিয়ে ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই যাত্রা শুরু করা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এক বছরের মধ্যেই অর্জন করতে পেরেছে নিজস্ব ব্র্যান্ড পরিচিতি। এছাড়া অভ্যন্তরীণ বিমান পরিবহন সেক্টরে অধিক প্রতিযোগিতার মধ্যেও মার্কেট শেয়ারের অধিকাংশই অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে এয়ারলাইন্সটি। এখন পর্যন্ত প্রায় দশ হাজার ফ্লাইট পরিচালনা করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, যা অভ্যন্তরীণ রুটে একটি মাইলফলক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৬
আরআই