ঢাকা: বিমান বদলায়নি! একই কচ্ছপগতির প্রশাসন একই অবহেলা, অসচেতনতা বিমানে চলছেই। যার একটি নমুনা রোববার বাংলানিউজকে ই-মেইল করে জানালেন একজন পাঠক।
এই যাত্রী অধুনা যোগ হওয়া ‘ময়ূরপঙ্খী’ বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটিতে চেপেছিলেন। নিজের আসনে বসে সামনের স্ক্রিনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তথ্যাদি ব্রাউজ করছিলেন। আর তখনই তিনি দেখতে পান, সেখানে এখনো বিমানের এমডি-সিইও হিসেবে রয়েছে কাইল হেইউডের নাম। হেইউডই এখনো উড়ছেন বিমানে বিমানে।
ব্রিটিশ এই নাগরিক দ্বিতীয় ব্রিটিশ হিসেবে বিমানের এমডি হয়ে এসেছিলেন। আলোচনা সমালোচনার মুখে বিমান ছেড়েও দিয়েছেন। তিনি পদত্যাগ করেছেন গত ১০ জানুয়ারি। এরপর গুনে গুনে চার মাস পুরো হয়েও কটা দিন কেটে গেলো। কিন্তু বিমানের হুঁশ হলো না। বিমান কর্তৃপক্ষ মনেই করলো না এমডির তথ্য হিসেবে আর কাইল হেইউডের নাম থাকা উচিত নয়।
কেবল নামই নয়, তাকে নিয়ে একটি নাতিদীর্ঘ রচনাও রয়েছে।
ওই যাত্রী বাংলানিউজকে ছবিটি পাঠিয়ে একটি ছোট্ট নোটে লিখেছেন, বিমানের এই দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় তিনি বিষ্মিত, মর্মাহত।
তিনি আরও লিখেছেন, এই ফ্লাইটগুলোতে বিদেশিরাও ওঠে। তারা নিশ্চয়ই এই ভুল তথ্যই জানছে বিমানের স্ক্রিন থেকে। যা মোটেই কাম্য নয়।
ব্রিটিশ নাগরিক কাইল হেইউড ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে বিমানের এমডি হিসেবে দায়িত্ব নেন। আর এক বছরের মাথায় বিমান ছেড়ে যান।
হেইউডের বিদায়ের পর এম আসাদুজ্জামান (অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার) ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব পালন করতে শুরু করেন।
বাংলাদেশ সময় ১২৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৬
এমএমকে