ঢাকা: যে বহিঃশক্তি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছিলো, গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলার ঘটনায় তারা কিছুটা সফল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেছেন, এ দু’টি ঘটনার ফলে আমরা একটু ব্যাকফুটে আছি।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সঙ্গে বৈঠকের পর বিমান সদরদপ্তরে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যে বহিঃশক্তি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছিলো, গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলার ঘটনায় তারা কিছুটা সফল হয়েছে। এ দুই ঘটনায় আমরা একটু ব্যাকফুটে আছি।
সেই বহিঃশক্তি কারা? এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, যাদের দেশে সবসময় খুন-হত্যা-সন্ত্রাস চলছে তারা। তারা এখন আমাদের দেশে এসে নাক গলাচ্ছে।
তাদের সেই সুযোগ দিচ্ছেন কেন? এমন আরেকটি প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান মেনন বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়ার দু’টি ঘটনার ফলে আমরা একটু ব্যাকফুটে আছি। সাম্প্রতিক এ ঘটনার কারণেই তাদের সময় দেওয়া হচ্ছে, কথা বলা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের এভিয়েশন সিকিউরিটি জোরদার করা হয়েছে। কেবল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই নয়, সব অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়ার সরাসরি কার্গো ফ্লাইট পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্তগুলো ছিলো রাজনৈতিক। একই কায়দায় জিএসপি বাতিলের সিদ্ধান্তও রাজনৈতিক।
এসব বিষয় কূটনৈতিকদের মাধ্যমে মোকাবেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি সাতটি দেশের ডিপ্লোম্যাটদের সঙ্গে বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে বৈঠক করবে। এছাড়া, বিদেশে বাংলাদেশের সব দূতাবাসকেও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিষয়ে সবাইকে নিশ্চয়তা দেওয়ার কথা বলার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি সৌদি সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার সময় তাকে বহনকারী ফ্লাইট বিমানবন্দরে অবতরণের আগে রানওয়েতে ধাতব বস্তু পাওয়ার বিষয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আমরা পেয়েছি। ধাতব বস্তুটি ইঞ্জিনের অংশ ছিলো।
জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মোকাবেলার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের আশপাশে কী ঘটছে, কে কী করছে তার ওপর নজর রাখতে হবে। সবাইকে সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, গুলশানে যে হামলা ঘটলো, এখানে যারা হামলা চালিয়েছে তাদের কেউ উচ্চশিক্ষিত, কেউ মাদ্রাসা থেকে এসেছে। এদের কেউ কেউ অনেকদিন নিখোঁজ ছিলো। সংগঠিত হয়ে এরা হামলা চালিয়েছে। পরিবার এদের খোঁজ রাখেনি। তাই এখানে সামাজিক দায়বদ্ধতার কথাও চলে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৬
আরএম/এইচএ/
**সবার সচেতনতার কথা বললেন রাশেদ খান মেনন