ঢাকা: ১৭ জুলাই ২০১৪। আকাশপথে যাত্রার খুব বেশি সময় নয়।
সাফল্যের ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি আন্তর্জাতিক রুটেও ডানা মেলেছে এ এয়ারলাইন্সটি। আকাশপথে ভ্রমণকে আরও আনন্দদায়ক করতে অগ্রসরমান এয়ারলাইন্স ‘ইউএস-বাংলা’র বহরে যুক্ত হয়েছে প্রথম বোয়িং ৭৩৭-৮০০ (S2-AJA) এয়ারক্রাফট।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে স্পর্শ করে ১৫৮ আসনের এ এয়ারক্রাফটি।
অত্যাধুনিক এ প্লেনটি অবতরণের মধ্য দিয়ে দিগন্তজয়ে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
সোমবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় নেদারল্যান্ড থেকে রওনা দিয়ে দুবাই হয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মঙ্গলবার অবতরণ করে এয়ারক্রাফটি।
আরও পড়ুন: ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো প্রথম বোয়িং
নতুন এ এয়ারক্রাফটি গ্রহণ করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-কোম্পানির পরিচালক (প্রশাসন) ফেরদৌস ইমাম, পরিচালক (মার্কেটিং সেলস) গাজী সালাহ উদ্দিন, পরিচালক (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক) ফরহাদ হোসেন, নির্বাহী পরিচালক এমজি তৌহিদ, ডিএমডি দিলরুমা পারভীন, পরিচালক (প্রকৌশল) ইমামুল মজিদ, পরিচালক (অপারেশন) শফিউল আযম প্রমুখ।
যাত্রা শুরুর দু’বছরের মধ্যে চলতি বছর ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটে ফ্লাইট উড়িয়ে আন্তর্জাতিক রুটে অভিষেক হয় ইউএস-বাংলার।
আসছে ডিসেম্বরে ঢাকা-মাসকট রুটেও প্রথম ফ্লাইট চালু হবে। প্রতিদিন ঢাকা থেকে চারটি ও চট্টগ্রাম থেকে তিনটি ফ্লাইট মাসকটের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১৫৮ আসনের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হওয়ায় আন্তর্জাতিক গন্তব্যে আরও বেশি ফ্লাইট চালানোর সংস্থাটির যে পরিকল্পনা আছে, দ্রুততম সময়ে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
পর্যায়ক্রমে এ বছরই আরও দু’টি বোয়িং ইউএস বাংলার বহরে যুক্ত হবে বলে জানান তারা।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থা। ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই দ্রুতগতির ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশের আকাশপথে ফ্লাইট উড়ায় ইউএস-বাংলা।
বর্তমানে ৭৬ আসনের তিনটি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে সংস্থাটির। যাত্রার পর থেকে এ পর্যন্ত ঢাকা-কাঠমান্ডু-ঢাকা রুটসহ অভ্যন্তরীণ রুটে মিলিয়ে প্রায় ১৬ হাজারের বেশি ফ্লাইট চালিয়েছে ইউএস-বাংলা।
‘ফ্লাই ফাস্ট, ফ্লাই সেফ’ স্লোগানে যাত্রা করা এই উড়োজাহাজ সংস্থাটির ভবিষ্যতে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়েই কলকাতা, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, দোহা, গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তারা জানান, শিগগির ঢাকা-পারো-ঢাকা রুটে ফ্লাইট চালানো হবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ওইসব রুটেও ফ্লাইট চালানো হবে।
গত দু’বছরে সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে অভ্যন্তরীণ রুটে ‘বেস্ট এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার-২০১৫’ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে ইউএস-বাংলা।
একই সঙ্গে অন-টাইম ফ্লাইট অপারেশন, আন্তর্জাতিকমানের কেবিন সার্ভিস, নিজস্ব ক্যাটারিং সার্ভিসের মাধ্যমে নির্ভরযোগ্য এয়ারলাইন্স হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে সংস্থাটি।
ইউএস-বাংলার এমডি মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, যাত্রী সেবার মান আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছানোই আমাদের লক্ষ্য।
‘ইউএস-বাংলা অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে স্বীকৃত সেরা এয়ারলাইন্স। অদূর ভবিষ্যতে এশিয়ার শ্রেষ্ঠ এয়ারলাইন্স হিসেবে স্বীকৃত পাওয়াই আমাদের লক্ষ্য। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৬
এমআইএস/এমএ/এসএইচ/