ঢাকা: হোটেল, মোটেল, অবকাঠামোসহ মৌলিক সুবিধা প্রতিষ্ঠা এবং সৌন্দর্য বর্ধনে বাংলাদেশের ২৭টি আকর্ষণীয় স্থানকে আরও দৃষ্টিনন্দন করা হবে। যাতে করে দেশি পর্যটকের পাশাপাশি এসব স্থানে বিদেশি পর্যটকদেও আকর্ষণ করে।
দেশের এসব আকর্ষণীয় স্থানের সঙ্গে পর্যটকদের সুবিধার জন্য এয়ারলাইনস, বাস, শিপিং, হোটেল, রেস্তোরাঁ, ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ট্যুর অপারেটর সুবিধা দেওয়া হবে। পর্যটকদের জন্য এসব স্থানে ট্রাভেল এজেন্ট, কার রেন্টাল ফার্ম, ক্যাটারার, হস্তশিল্প ও কৃষিপণ্য খুচরা বিক্রির বিকাশ ঘটানো হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এ উদ্যোগ নিয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশের আর্ষণীয় স্থান বিছানাকান্দী, রাণী ভবানী, পানাম নগর, রাতারগুল, ময়নামতি, মেঘলা, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, কক্সবাজার, বিজয়পুর, কুয়াকাটা, হালুয়াঘাট, টেকেরঘাট ও বারেকেরটিলাসহ ২৭ পর্যটন স্পটের ভূমি উন্নয়ন করা হবে।
এসব দর্শনীয় এলাকায় ভবন ও নানা স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। যাতে করে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আবাসন সমস্যা না হয়। বৃদ্ধি করা হবে স্যানিটেশন ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (পর্যটন) জ্যোতির্ম্ময় বর্ম্মন বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের ২৭টি আকর্ষণীয় স্থানে আমরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করবো। দেশীয় পর্যটকের পাশাপাশি যেন বিদেশি ভ্রমণপিপাষুরা স্বাচ্ছন্দে ভ্রমণ করতে পারেন। সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি উন্নত মানের আবাসন সুবিধা, স্যানিটেশন ও পানি সরবরাহ বৃদ্ধি করা হবে। কারণ এসব স্থানে বিদেশি পর্যটকদের জন্য তেমন কোনো পর্যটন সুবিধাদি তৈরি হয়নি এখনো। যার ফলে বাংলাদেশের দেশজ অর্থনীতির জন্য পর্যটনের অবদান অতি অল্প। আমরা দেশি-পর্যটকদের পাশাপাশি যদি বিদেশি পর্যটকদের সুবিধা বাড়াতে পারি তবে অর্থনীতিতে অনেক অবদান রাখতে পারবো। পর্যটন খাতও অনেক এগিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, পর্যটন সুযোগ-সুবিধা এবং অবকাঠামো উন্নয়ন করা হলে এ খাতের অবদান জাতীয় অর্থনীতিতে বৃদ্ধি পাবে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পর্যটন সুবিধার লক্ষ্যে চারটি ট্যুরিস্ট কোচ, চারটি মাইক্রোবাস কেনাসহ ২৪সেট উন্নত মানের ক্যামেরা কেনা হবে।
পর্যটন বিকাশ ও জাতীয় অর্থনীতিতে বাংলাদেশের এ শিল্পকে আরও সম্ভাবনাময় করে গড়ে তুলতে কাজ করছে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ‘বছরজুড়ে দেশ ঘুরে’ স্লোগান নিয়ে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা নানা আকর্ষণীয় স্থানে ঘুরে সরেজমিন প্রতিবেদন করা হচ্ছে। তুলে ধরা হচ্ছে দেশের পর্যটন শিল্পের সমস্যা ও সম্ভবনা।
এসব স্থানে অবকাঠামো ও আবাসনসহ নানা সমস্যার কথা ফুটে উঠেছে বাংলানিউজের রিপোর্টে। এমনকি এসব সমস্যা নিরসনে সংশ্লিষ্টদের বরাবর প্রস্তাবনা আকারে সুপারিশ করা হচ্ছে।
চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ না থাকলেও জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। পর্যটন বর্ষ উপলক্ষে দেশের কতিপয় পর্যটন আকর্ষণীয় এলাকার উন্নয়নে ৪৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার কাজ করবে মন্ত্রণালয়। চলতি সময় থেকে ডিসেম্বর ২০১৮ সালের মধেই এসব স্থানের উন্নয়ন করা হবে বলে জানায় মন্ত্রণালয়। ২৭টির মধ্যে অধিকাংশ স্থানের নানা সমস্যা তুলে রিপোর্ট করেছে বাংলানিউজ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৬
এমআইএস/এসএইচ