নতুন করে শনাক্তরা হলেন- উম্মে সালমা, আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার ও শারমিন আক্তার।
নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশ মেডিকেল টিমের প্রতিনিধি দলের সদস্য ডা. সোহেল মাহমুদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এছাড়া আরো দু’জনের মরদেহ শনাক্তের পথে রয়েছে। এরা হলেন- নজরুল ইসলাম ও এফ এইচ প্রিয়ক। অবশিষ্ট যে তিন বাংলাদেশির ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে তারা হলেন- নজরুল ইসলাম, পিয়াস রয় ও আলিফুজ্জামান।
আজ যাদের শনাক্ত করা যাবে আগের শনাক্তকৃত ১৭ জনের সঙ্গে সোমবার তাদের মরদেহও দেশে পাঠানো হবে বলে জানান ডা. সোহেল মাহমুদ।
এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, বিমান বাহিনীর বিশেষ প্লেনে সোমবার বিকেল ৪টায় মরদেহগুলো বঙ্গবন্ধু বিমান ঘাঁটি, কুর্মিটোলায় পৌঁছবে।
নেপালে অবস্থানরত ইউএস-বাংলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফও জানিয়েছেন, সোমবার এয়াফোর্সের বিশেষ এয়ারক্রাফটে মরদেহ বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হবে। তার আগে তাদের স্বজনদের ইউএস-বাংলার এয়ারক্রাফটে নিয়ে যাওয়া হবে।
এর আগে শনাক্ত হওয়া ১৭ বাংলাদেশি হলেন- শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো হলো- বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান এবং পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।
এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত শাহীন ব্যাপারি নামে একজনকে রোববার বিকেলে ইউএস-বাংলার তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে আনা হয়েছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে প্লেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ৬ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন।
ফ্লাইট বিএস২১১: সোমবার ফিরছে ১৭ বাংলাদেশির মরদেহ
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস