কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ নিয়ে অনুসন্ধানও শুরু করেছে। তারা বলছে, ওই পাইলট ধূমপানের ব্যাপারটা লুকিয়েছিলেন।
এরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্লেনের এয়ারমাস্ক খুলে যায়। আর প্লেনটি ২১ হাজার ফুট উচ্চতায় নেমে আসে।
চীনের সিভিল অ্যাভিয়েশন প্রশাসন পাইলটের ধূমপান করার সত্যতা পেয়েছে। তারা বলছে, ওই কো-পাইলট ফ্যান বন্ধ করতে গিয়েছিলেন। যাতে ধোঁয়া যাত্রীদের দিকে না যায়। তিনি পাইলটকে না জানিয়ে ফ্যান বন্ধ করতে যান। কিন্তু ভুলে ফ্যান বন্ধ না করে এসি বন্ধ করেন।
ওই প্লেনের যাত্রীরা বলছেন, তাদের দ্রুত সিট বেল্ট পরতে বলা হয়। কেননা প্লেনটি অনেক নিচ দিয়ে উড্ডয়ন করছিল।
নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কুইআও ইবিন বলেন, সমস্যা চিহ্নিত না হওয়া পর্যন্ত অক্সিজেন মাস্ক ফেলে দিয়ে পাইলটদের জরুরি পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, কোনো প্লেনের কেবিন প্রেসার কমে গেলে পাইলট প্লেনকে কম উচ্চতা দিয়ে নিয়ে যান। যখন তারা দেখেন, এয়ারকন্ডিশন বন্ধ। তখন তারা আবার এয়ারকন্ডিশন চালু করে স্বাভাবিক উচ্চতা দিয়ে নিয়ে যান।
কর্তৃপক্ষ আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা বলছেন, প্লেন সংশ্লিষ্টদের অশোভন আচরণের যোগসূত্র পাওয়া গেলে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করা হবে।
২০০৬ সালে চীনের ফ্লাইট বিধিকানুনে প্লেনে ক্রুদের ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়। এছাড়া যাত্রীদের ই-সিগারেট বহনও নিষিদ্ধ।
এয়ার চায়নার ওই ফ্লাইটটি হংকং থেকে ডালিয়ান শহরে যাচ্ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৮
এএইচ/এএ