বেবিচকের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হতেই দুদকের উপ-পরিচালক হেলালউদ্দিন শরীফের নেতৃত্বে তিন সদস্যের দুদক টিম রোববার (২২ জুলাই) বেবিচকের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করে।
এর আগে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি দুদক কল সেন্টারের হটলাইনে (১০৬) পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন অনিয়ম খতিয়ে দেখতে দুদকের আরেকটি টিম বেবিচকের সদর দফতর পরিদর্শন করে।
তারই আলোকে নেওয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে রোববার অভিযানকারী দলকে জানানো হয়, সংস্থার কেনাকাটা শতভাগ ই-টেন্ডারিংয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। এছাড়া উড়োজাহাজ উড্ডয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে যাত্রীদের অবহিত করা হচ্ছে। তবে ভিআইপি যাত্রীদের জন্য ডিজিটাল ডিসপ্লের মাধ্যমে ফ্লাইট আসা-যাওয়ার তথ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে।
অভিযানকারী দল সরেজমিন পরিদর্শনে দেখতে পায়, প্রতিষ্ঠানটির ১৯৮৫ সাল থেকে আজ পর্যন্ত তিন হাজার ৫৬৭টি অডিট আপত্তির মধ্যে দুই হাজার ৩৬১ আপত্তি নিষ্পত্তি হয়েছে। এক হাজার ২১০টি আপত্তি এখনো অনিষ্পন্ন অবস্থায় আছে। এ বিষয়ে দুদক টিম অসন্তোষ প্রকাশ করে।
বেবিচকে দুদকের অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জানান, দুদক সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর গভর্নেন্সের মানোন্নয়নে নিয়মিত অভিযান ও পরিদর্শন তৎপরতা চালাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো সুশাসনে সমৃদ্ধ হোক এটিই দুদকের প্রত্যাশা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ২২,২০১৮
আরএম/জেডএস