এর মধ্যে এক নম্বরে রয়েছে স্কেলড কম্পোজিটস স্ট্রাটোলঞ্চ পদ্ধতির প্লেন। যার ওজন দুই লাখ ২৬ হাজার ৭৯৬ কেজি।
দ্বিতীয়ত: হাগিজ এইচ-৪ হারকিউলস (স্প্রজ গুজ) প্লেনটির প্রথম এবং একমাত্র ফ্লাইট ছিল মাত্র ২৬ সেকেন্ডের (দেড় কিলোমিটারের কাছাকাছি)। কিন্তু এই ছোট ফ্লাইটটিই স্প্রুজ গুজের জন্য যথেষ্ট। দৈত ফ্লায়িং মেশিন ও আট ইঞ্জিনের এ প্লেনটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারী পরিবহন ব্যবস্থার জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে ২০০৪ সালে প্লেনটি কেন্দ্র করে একটি সিনেমাও নির্মাণ করা হয়। এর ওজন এক লাখ ১৩ হাজার ৩৯৯ কেজি। লম্বায় ৬৬.৬৫ এবং প্রসারতায় ৯৭.৫৪ মিটার। এটি এখন জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
ছয় ইঞ্জিনযুক্ত আন্তোনোভ এএন-২২৫ মারিয়া তিন নম্বরে আছে তার ওজন ও দৈর্ঘ্য-প্রসারতা দিয়ে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ভারী প্লেনের মধ্যে এটি একটি। দৈর্ঘ্য ও প্রসরাতায়ও এগিয়ে আছে এএন-২২৫। এর ওজন দুই লাখ ৮৫ হাজার কেজি। লম্বা ৮৪ ও প্রসারতা ৮৮.৪ মিটার। ১৯৮৮ সালে প্রথম ফ্লাইট শুরু করেছিল প্লেনটি।
এয়ারবাস এ৩৮০-৮০০। তার ওজন ও সবচেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা দিয়ে বিশ্বের চার নম্বর অবস্থানে আছে। ডাবল-ডেকারের এ৩৮০ প্লেনটি ২০০৫ সালে প্রথম ফ্লাইট শুরু করেছিল। এটি সর্বোচ্চ ৮৫০ যাত্রী বহনে সক্ষম। যদিও এর চেয়ে কম যাত্রীই বহন করেছে সব সময়। দুবাইভিত্তিক এ প্লেনটির ওজন দুই লাখ ৭৭ কেজি। লম্বায় ৭২.৭২ আর প্রসারতায় ৭৯.৭৫ মিটার।
বোয়িং ৭৪৭-৮ আছে পাঁচ নম্বরে। বি৭৪৭-৮এফ নামে এটি ২০১০ সালে প্রথম ফ্লাইট শুরু করেছিল। এর ওজন দুই লাখ ২০ হাজার ১২৮ কেজি। লম্বা ৭৬.৩ আর প্রসারতায় ৬৮.৪ মিটার। এটিও ডাবল-ডেকার। বিলাশবহুল প্লেন হিসেবে এর যথেষ্ট সুনাম আছে। সেজন্য অনেকে এটাকে ‘আকাশের রানি’ বলে ডাকে।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৭ ২০১৮
টিএ/এএ