ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুবাই-ঢাকা ফ্লাইট বিপর্যয় হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন প্রায় ৪০০ যাত্রী।
দুবাই বিমানবন্দরে অপেক্ষারত যাত্রীরা জানান, স্থানীয় সময় ২৭ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত দুইটায় (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি ৪৮ ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু যাত্রীরা বোডিং পাস করাতে গেলে কর্মকর্তারা ফ্লাইট ছাড়তে দেরি হবে বলে জানান।
ফ্লাইট দেরি হওয়ার কারণে বিমানের কর্মকর্তারা বোডিং পাস দিতেও দেরি করে। প্রায় একঘণ্টা অপেক্ষার পর যাত্রীদের বোডিং পাস দেওয়া শুরু হয়। রাতের সাড়ে ১০টার দিকে বিমান বাংলাদেশের ঢাকাগামী যাত্রীদের পাস দেওয়া শুরু হলে বোডিং কার্ডে লেখা ছিল বোর্ডিং টাইম রাত ৪টা।
দুবাই থেকে রাত দুইটায় বিমান বাংলাদেশের ঢাকাগামী ফ্লাইটটি ছাড়ার কথা ছিল। তিনঘণ্টা দেরি হওয়ার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন শত শত যাত্রী।
স্ত্রী সন্তান নিয়ে দুই বছর পরে দেশে যাচ্ছেন ব্যবসায়ী রায়হান খান। তিনঘণ্টা ফ্লাইট দেরি হওয়ায় ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ডিউটি ফ্রি শপের লাউঞ্জে।
এদিকে ফ্লাইট বিপর্যয়ের কারণে বিপাকে পড়েছে দেশের ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর বিজনেস ডেলিগেশন। ডেলিগেশনের প্রায় অর্ধশত সদস্যও চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
দুবাই বিমানবন্দরে অপেক্ষায় থাকা ঢাকাগামী যাত্রীরা জানান, ফ্লাইট বিপর্যয় বিমান বাংলাদেশের নতুন কিছু নয়। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ব্যাংককগামী সকাল ১০টার ফ্লাইট ঢাকা থেকে ছেড়েছিল বিকেল ৩টায়।
ঢাকাগামী যাত্রীরা বলেন, আমরা সময় চাই বিমান বাংলাদেশে ফ্লাই করতে। কিন্ত কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই এভাবে ফ্লাইট ডিলে করায় যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হলো।
তারা আরও বলেন, অন্য এয়ারলাইন্সগুলোর ফ্লাইট বিপর্যয় হলে বা ডিলে হলে নোটিফিকেশন দেওয়া হয়। যেটা বিমান বাংলাদেশ কখনোই করে না। ঢাকাগামী যাত্রীদের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কাউকে বিমান নোটিফিকেশন করেনি। এমনকি এফবিসিসিআই বিজনেস ডেলিগেশনকেও জানানো হয়নি ফ্লাইট দেরি হওয়ার খবর।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
এসই/এনটি