ঢাকা: বাংলাদেশে প্রথম ফ্লাইট পরিচালন কার্যক্রম শুরুর আগে থেকেই বিশ্বমানের আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট সনদপ্রাপ্তির প্রস্তুতি শুরু করেছে এয়ার অ্যাস্ট্রা।
গত ১৩ জুন এয়ারলাইন্সটির নিজস্ব ট্রেনিং সেন্টারে আইএটিএর প্রশিক্ষক লুইস রামোস আলভেসের অধীনে ৫ দিনব্যাপী আইওএসএ এয়ারলাইন্স নিরীক্ষা ট্রেনিং, মডিউল-১ প্রশিক্ষণ শুরু এয়ার অ্যাস্ট্রার আইওএসএ সনদপ্রাপ্তির উদ্যোগ বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এ কার্যক্রমে মোট ১৭ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে আছেন এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ, ফ্লাইট পরিচালনা পরিচালক ক্যাপ্টেন ফরহাত জামিল, প্রকৌশল পরিচালক গাজী মাহমুদ ইকবাল, কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স প্রধান মো. শফিকুল আলম, গ্রাউন্ড অপারেশন মহাব্যবস্থাপক জাফর উজ্জামান, ফ্লাইট সেফটি প্রধান ক্যাপ্টেন খালিদ শামস্ ও এয়ারলাইন্স সিকিউরিটি মহাব্যবস্থাপক হাসিব উল আলমসহ অন্যরা।
ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক প্রণোদিত আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট একটি বিশ্বমানের মানদণ্ড নিরুপণী নিরীক্ষা, যা এয়ারলাইন্সের নিরাপদ পরিচালনা নিশ্চিত করে। বিশ্বের সব বড় এয়ারলাইন্স কোম্পানি (এমিরেটস, কাতার এয়ারওয়েজ, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স ইত্যাদি) আইওএসএ সনদপ্রাপ্তির মাধ্যমে তাদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত ফ্লাইট পরিচালনা নিশ্চিত করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোভিড-১৯ পরবর্তী অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে এয়ারক্রাফট সংগ্রহে বিলম্ব হলেও তা কাটিয়ে উঠে এবছর সেপ্টেম্বর নাগাদ ৩টি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে এয়ার অ্যাস্ট্রা। ফ্রান্সে নির্মিত এটিআর ৭২-৬০০ সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টার্বোপ্রপ এয়ারক্রাফট। এয়ার অ্যাস্ট্রার পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৩ সালের মধ্যে এয়ারলাইন্সটির বহরে আরও ৫টি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট যোগ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, ১৫ জুন, ২০২২
এমআইএইচ/এমএমজেড