ঢাকা: নিজের নেতৃত্বাধীন কমিটিকে প্রকৃত জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ দাবি করে এর প্রতীক ‘মশাল’ এর সুরক্ষায় নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আরজি জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
রোববার (১০ এপ্রিল) বিশেষ বাহকের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইসি’র প্রাপ্তি ও জারি শাখার জমা দিয়েছেন তিনি।
হাসানুল হক ইনু এতে বলেছেন, জাসদ ২০০৮ সালের ০৩ নভেম্বর ইসিতে নিবন্ধন নেয়। নিবন্ধিত ১৩ নম্বর দল হিসেবে এর প্রতীক হচ্ছে ‘মশাল’। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ৩৫-৩৬ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, ঢাকা-১০০০। নিবন্ধন নেওয়ার সময় দলটির সভাপতি ছিলেন হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সৈয়দ জাফর সাজ্জাদ।
তাই নিবন্ধিত দল হিসেবে জাসদ ইসি’র কাছে দলের নাম, নিবন্ধন নম্বর, প্রতীক ‘মশাল’ সংরক্ষণসহ যাবতীয় আইনি প্রাপ্য অধিকার বিষয়ে আইনি সুরক্ষা পাওয়ার দাবিদার।
ইনু আরো বলেন, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গত ১২ মার্চ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাসানুল হক ইনু সভাপতি এবং শিরীন আখতার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। কাউন্সিলের এ প্রতিবেদন যথারীতি ইসি’র কাছে দাখিল করা হয়েছে।
দুঃখ প্রকাশ করে তিনি ওই চিঠিতে আরো বলেন, ‘আমরা গভীর দুঃখ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, এ কাউন্সিলের পর শরীফ নুরুল আম্বিয়া, নাজমুল হক প্রধান, মঈনুদ্দীন খান বাদলসহ কতিপয় সদস্য দল পরিত্যাগ করে একই নামে পৃথক দল গঠনের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে জাসদের নাম, নিবন্ধন নম্বর ও প্রতীক ‘মশাল’ বেআইনিভাবে অপব্যবহার করার অপতৎপরতা চালাচ্ছেন’।
‘তাই নিবন্ধিত দল হিসেবে জাসদের নাম, নিবন্ধন নম্বর ও প্রতীক ‘মশাল’ এর বেআইনি অপব্যবহার রোধে ইসি’র কাছে সকল ধরনের আইনি সুরক্ষা প্রদানে আবেদন করছেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তথ্যমন্ত্রী।
গত ১২ মার্চের কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে বিরোধের জের ধরে শরীফ নুরুল আম্বিয়ার (সর্বশেষ সাধারণ সম্পাদক) নেতৃত্বাধীন অংশ জাসদের একটি পৃথক কমিটি গঠন করে। নিজেদের পক্ষে বেশি কাউন্সিলর এবং সংসদ সদস্য থাকার যুক্তি তুলে ধরে তারাও ইসি’র কাছে ‘মশাল’ প্রতীক চেয়েছে। মূল জাসদ কারা এবং প্রতীক ‘মশাল’ কার হাতে যাবে এ নিয়ে গত ০৬ এপ্রিল দুই পক্ষেরই শুনানি করেছে নির্বাচন কমিশন। যদিও কমিশন এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।
এর মধ্যেই হাসানুল হক ইনু নিজেদের পক্ষেই প্রতীক সংরক্ষণের আরজি জানালেন। যদিও তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দু’পক্ষকেই ‘মশাল’ প্রতীক দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে আগামী ১৯ এপ্রিল চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ দেবে ইসি। এক্ষেত্রে ইনুর এ চিঠি প্রতীক বরাদ্দের ক্ষেত্রে আইনি জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন ইসি কর্মকর্তারা। তাদের মতে, শরীফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন অংশকে প্রতীক না দিলে এবং তারা আদালতের আশ্রয় নিলে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৬
ইইউডি/এএসআর