ঢাকা: যুদ্ধাপরাধী নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকরের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মতিউর রহমান নিজামী ছিলেন কুখ্যাত আলবদর বাহিনীর প্রধান এবং বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী। নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মা শান্তি পেয়েছে।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির সামনে ওয়াদা করেছিলেন যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এ দেশের মাটিতেই হবে। সব অপশক্তির রক্তচক্ষু, হুমকি, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাধাকে নস্যাৎ করে দিয়ে শেখ হাসিনা তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
বুধবার (১১ মে) সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে দলের ২০তম সম্মেলনকে সফল করার লক্ষ্যে গঠিত প্রচার উপ-কমিটির এক বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ বক্তব্য তুলে ধরেন।
হাছান মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশের নাগরিকদের পাসপোর্টেই উল্লেখ আছে ইসরায়েল ছাড়া অন্য যেকোনো দেশে যাওয়া যাবে। আর সে ইসরায়েলের ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসির প্রধানের সঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরী বৈঠক করেন। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি ইসরায়েলের গোয়েন্দা বাহিনীর সহযোগিতায় দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। ইসরায়েলের সঙ্গে বিএনপির এ ষড়যন্ত্র পুরো মুসলিম জাহানের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র।
বিএনপি কী বাংলাদেশ নাকি পাকিস্তানের স্বার্থ রক্ষা করছে?- এমন প্রশ্ন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ নিয়ে ও রায় বাস্তবায়নের পর পাকিস্থান থেকে যে প্রতিক্রিয়া বা মন্তব্য করা হয়, আমাদের দেশের রাজনৈতিক দল বিএনপিও পাকিস্তানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে একইরকম বক্তব্য প্রদান করে। তাই জনগণের মনে প্রশ্ন জাগে বিএনপি আসলে কার স্বার্থ রক্ষা করছে?
আওয়ামী লীগের এ প্রচার সম্পাদক তার বক্তব্যে আরো বলেন, সময় এসেছে যারা যুদ্ধাপরাধীদের এ দেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে; যারা যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়েছে; মন্ত্রী বানানোর মাধ্যমে তাদের গাড়িতে আমাদের জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিল যে পতাকার বিরুদ্ধে তারা (যুদ্ধাপরাধী) ৭১ সালে অস্ত্র ধারণ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার।
বক্তব্যের শুরুতে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন হাছান মাহমুদ।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমসহ প্রচার উপ-কমিটির অন্য সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৬
জেডএস