এ কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে বগুড়া শহরের ঐতিহ্যবাহী আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু।
ওবায়দুল কাদের বগুড়াবাসীর উদ্দেশে বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগের ৮ বছর, খালেদা জিয়ার ১০ বছর ও জিয়াউর রহমানের ৪ বছর শাসনকাল দেখেছেন। আপনারা কি খালেদা জিয়ার আমলে ভাল ছিলেন? নাকি শেখ হাসিনার আমলে ভাল আছেন?
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, বগুড়ায় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রথম এসেছি। আমি সংবর্ধনা চাই না। ফুল চাই না। ফুল নিতে আসিনি। আমি জানি বাগানের ফুল শুকিয়ে যাবে। পোস্টার ছিড়ে যাবে। কিন্তু হৃদয়ে লেখা নাম থেকে যাবে। মানুষের ভালবাসার ফুল কখনো শুকোবে না। আমরা মানুষের ভালবাসা অর্জন করতে এসেছি।
নেতাকর্মীদের ক্ষমতার দাপট না দেখাতে ক্ষমতাসীন দলের এ দ্বিতীয় প্রধান বলেন, মানুষের চোখের ভাষা ও মনের ভাষা বুঝে কাজ করতে হবে। ক্ষমতার দাপট কেউ দেখাবেন না। ক্ষমতা আজ আছে কাল নেই। কাজের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করতে হবে। উন্নয়নের ব্যাপারে কোনো এলাকাকে শেখ হাসিনা বিশেষ নজরে দেখেন না। তাহলে বগুড়ায় এতো উন্নয়ন করার কথা ছিল না। এটা জিয়া- খালেদা-তারেকের ঘাঁটি। তাহলে এখানে উন্নয়ন কেন হবে?
শেখ হাসিনার নীতি সমানে উন্নয়ন করা উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত ১২ হাজার কোটি টাকায় ফোর লেন রাস্তা হবে। ধানের শীষ এখন বগুড়ার মানুষের জন্য পেটের বিষ হয়ে গেছে। বিএনপি বগুড়াবাসীকে কলা-মূলা দেখিয়েছে। বগুড়াবাসীর সঙ্গে বিএনপি প্রতারণা করেছে। উন্নয়ন করছেন শেখ হাসিনা। বগুড়ায় বিমানবন্দরের কাজও হবে।
দলে পরগাছার দরকার নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলভারী করার জন্য খারাপ লোককে দলে আশ্রয় দেবেন না। পরগাছার দরকার নেই। বসন্তের কোকিলের দরকার নেই। ক্ষমতায় এলে বসন্তের কোকিল আসবেই। আবার ক্ষমতা চলে গেলে ওরা হারিয়ে যাবে। তাই কোকিলদের দলে দরকার নেই।
বিএনপি নিয়ে বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এখন নালিশ পার্টি। ঘরে বসে প্রেস ব্রিফিং করে। বিদেশিদের কাছে নালিশ করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কেউ নিরপেক্ষ নয়। তবে নির্বাচন কমিশন গঠনে গঠিত সার্চ কমিটির মধ্যে কোনো দলীয় লোক নেই। সার্চ কমিটিতে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা নেই।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও বিএম মোজাম্মেল হক এমপি, পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান ও হাবিবর রহমান, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৭
এমবিএইচ/এইচএ