রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের দাবি’ শীর্ষক মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ।
মানববন্ধনে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পদ্মা সেতু দেশের মানুষের যুগ যুগ ধরে লালিত স্বপ্ন।
তিনি আরও বলেন, কানাডার আদালতে দুর্নীতির প্রমাণ হয়নি। কানাডার আদালতের রায়ে অভিযোগকে মনগড়া, বানোয়াট, গুজব ও অনুমান নির্ভর বলা হয়েছে। এতদিন সরকার পদ্মা সেতু দুর্নীতি নিয়ে যা বলেছিল তার প্রমাণ হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি-জামায়াত ও কিছু বুদ্ধিজীবী মার্কা ষড়যন্ত্রকারী মিথ্যা অভিযোগ করেছিলো। নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। এটা আমাদের কথা নয়, তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে তার ই-মেইল চালাচালিতে প্রমাণ হয়েছে।
তাই, আমরা দেশবাসীর পক্ষে সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করেছিলো, সেই সব চিহ্নিত ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক, যোগ করেন হাছান মাহমুদ।
টিআইবিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কানাডার আদালতের রায়ের পর টিআইবি এখন সুর পাল্টিয়েছে। এক সময় সংস্থাটি ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলো। এজন্য টিআইবিকে জাতির সামনে ক্ষমা চাইতে হবে।
কানাডার আদালতের রায় বিশ্বব্যাংক ও ষড়যন্ত্রকারীদের চপেটাঘাত করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া কয়েকদিন আগেও বললেন, পদ্মা সেতু হবে না, হবে না। তার এ বক্তব্য এখনও ইউটিউবে পাওয়া যাবে। কিন্তু তার এ স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ২০১৮ সালের শেষে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করবে।
পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে চলাচল না করে নিচ দিয়ে চলাচলের নির্দেশ দেন হাছান মাহমুদ।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চিত্তরঞ্জন সাহা, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭
এমসি/এমজেএফ