পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
হাছান মাহমুদ বলেন, জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা ও দীনতার কারণে বিএনপি ও বিএনপির নেত্রী সবসময়ই আধুনিক যেকোনো পদ্ধতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে থাকেন। এর আগে বিএনপির শাসনামলে খালেদার ‘সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হলে দেশের তথ্য পাচার হয়ে যাবে, দেশ নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে’ এমন অজ্ঞতাপ্রসূত মনোভাবের কারণে বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবলে বাংলাদেশ যুক্ত হতে পারেনি। পরবর্তীতে কয়েকশো কোটি টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশকে সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হতে হয়েছিল। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই এখন জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের দেশে বেশ কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচনও আধুনিক ইভিএম পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কেবল ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহারের প্রস্তাবনা করেছেন মাত্র। কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে তা ঠিক করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তাই বিএনপিকে বলবো আপনারা ও আপনাদের দলের চেয়ারপারসন দয়া করে আধুনিক বিজ্ঞান-প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন।
‘খালেদাকে জেলে যেতে হলে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না’ বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন কারো জন্য বসে থাকবে না। ২০১৪ সালেও যেমন কারো জন্য বসে ছিল না তেমনি পরবর্তী নির্বাচনও সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। বিচারাধীন মামলায় তাকে জেলে যেতে হবে না কোথায় যেতে হবে, তাকে কোন শাস্তি পেতে হবে তা কেবল আদালতেরই এখতিয়ার। মামলার রায় দেবে আদালত, সরকার নয়।
খালেদার কারণে দেশে নির্বাচন হবে না এমন ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে বিএনপিকে দল গোছানোর পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় নেতা।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ অন্য গণতান্ত্রিক দেশে যেমন নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনেই নির্বাচন হয় ঠিক তেমনি বাংলাদেশেও বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে যেখানে সরকার প্রধান থাকবেন শেখ হাসিনা।
ড. এম ওয়াজেদ মিয়ার স্মরণে হাছান মাহমুদ বলেন, ব্যক্তি জীবনে ওয়াজেদ মিয়া অত্যন্ত প্রচারবিমুখ ও নির্লোভ ব্যক্তি ছিলেন। তার সঙ্গে আমার মেশবার সুযোগ হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর জামাতা ও প্রধানমন্ত্রীর স্বামী এমন অহংবোধ কখনোই তার মধ্যে দেখিনি। আজকের যে সুধাসদন সেটিও ওয়াজেদ মিয়া ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বানিয়েছিলেন।
বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, শিক্ষাবিদ ড. আব্দুল মান্নান, ড. ইনামুল হক, বলরাম পোদ্দার, অরুণ সরকার রানা ও এম এ করিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৭
এএটি/এমজেএফ/