তিনি বলেন, “ওয়ান ইলেভেনে নিজের জীবনের শেষ সময়ে আমাদের বাড়ি, পুকুর তন্নতন্ন করেও ত্রাণের টিন বা কোনো কিছু উদ্ধার করতে পারেননি সেনা কর্মকর্তারা। ”
“এরপর তার মৃত্যুর পর জানাজায় লাখ লাখ শোকার্ত মানুষের উপস্থিতি দেখে সেনা কর্মকর্তারাও বিস্মিত হয়েছিলেন।
প্রয়াত কিংবদন্তী রাজনীতিক আলতাফ হোসেন গোলন্দাজের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণ সভায় আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে এসব কথা বলেন সন্তান ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত স্মরণসভায় স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন তিনি।
বাবার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বাবেল বলেন, “রাষ্ট্রপতি, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও চিফ হুইপ সবাই আমাকে দেখেই বলেছেন, ‘তোমার বাবার সঙ্গে আমরা রাজনীতি করেছি। তোমার বাবার মতোই মানুষের জন্য কাজ করো, তার অসমাপ্ত কাজ শেষ করো। ’ তারা সবাই বেঁচে আছেন। গফরগাঁওয়ের মানুষের জন্য দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমার বাবা নিজের শরীরের যত্ন নিতে পারেননি। এ কারণে অবেলায়, অসময়ে তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে। সৎ কর্ম ও আদর্শের মাধ্যমেই তিনি অমরত্ব লাভ করেছেন।
বাবেল আরও বলেন, ওয়ান ইলেভেনে হায়েনাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আমার নেত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর নাখালপাড়ায় এমপি হোস্টেলে আমার বাবার শেষ মুখটি দেখার জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন, কেঁদেছিলেন। নিজের জীবদ্দশায় বাবা নেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টাতেই মগ্ন ছিলেন।
জীবিত গোলন্দাজের চেয়ে মৃত আলতাফ হোসেন গোলন্দাজ আরও অনেক বেশি শক্তিশালী। তার কারণেই এখনও গফরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ দেশের যেকোনো এলাকার চেয়ে ঐক্যবদ্ধ, বলেন এমপি বাবেল।
পৌর আ’লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম মানিকের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন বাদল, পৌরসভার মেয়র এস এম ইকবাল হোসেন সুমন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি, জেলা পরিষদের মহিলা সদস্য দিলরুবা আক্তার, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান সানিল প্রমুখ।
এছাড়া রসুলপুর, যশরা, চর আলগীসহ উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নে মরহুম আলতাফ হোসেন গোলন্দাজের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও গণভোজের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৭
এমএএএম/এমজেএফ