বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও এর সড়ক ভবন প্রাঙ্গণে সড়ক ও জনপথ ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির ১৪তম জাতীয় সম্মেলন ও ১৯তম কাউন্সিল অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তি হলেই দেশের একটি মহল বলে, গেলরে গেল, দেশ ইন্ডিয়া হয়ে গেল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের একটা অংশ নাকি ভারতের অঙ্গরাজ্য হয়ে যাবে, এমন অপপ্রচারও চালানো হয়েছিল। যার সঙ্গে বাস্তবের কোনো সামঞ্জস্য নেই। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব হবে সমতার ভিত্তিতে। কেউ ছোট, কেউ বড় নয়; সম্পর্ক হবে জাতীয় স্বার্থে। ভারতের গোলামী করলে ১৫ আগস্টের পর আমরাই ক্ষমতায় থাকতাম।
ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে বিএনপির বক্তব্যের সমালোচনায় মন্ত্রী বলেন, কোন চুক্তি গোপন থাকবে না। এই তথ্যপ্রবাহের বিস্ফোরণের যুগে কিছুই গোপন থাকবে না। আর কিছু গোপন করার দরকারই নেই। কেন গোপন করবো? আমরা তো রাজনীতি করি জনগণের জন্য। তাই জনগণের সামনে কোনকিছু গোপন করা আমরা সমীচীন মনে করি না।
কাদের বলেন, সামরিক-বেসামরিক সব চুক্তি জাতীয় স্বার্থকে সমুন্নত রেখে করা হবে। সামরিক, বেসামরিক, কূটনৈতিক সব ধরনের চুক্তি হতে পারে। আমেরিকা, রাশিয়ার সঙ্গেও অনেক দেশ চুক্তি করে। কিন্তু এই যে গেল গেল, ইন্ডিয়া নিয়ে গেল; এই ইন্ডিয়া ফোবিয়া নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর আরও দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা উচিত।
তিনি বলেন, আমরা কারো পদানত নই। কারো কাছে আমাদের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়নি। কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা ভারতের চেয়েও এগিয়ে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা কারো দাসত্ব করি না, কারোর চেয়ে পিছিয়ে নেই। কারো আনুগত্য স্বীকার করি নাই, আমরা বীরের দেশ। বীরের মতই শেখ হাসিনা মাথা উঁচু করে ভারত যাবেন। জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রেখে জনগনের জন্য তিনি চুক্তি করবেন। আর চুক্তি তো একতরফা না, এটি উভয়পক্ষের সম্মতিতেই হয়।
সড়ক ও জনপথ ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি আব্দুন নুমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স সভাপতি এ কে এম এ হামিদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬,২০১৭
এমএ/জেডএম