বুধবার (২৯ মার্চ) রাত পৌনে ১১টায় আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার নিজ অফিস থেকে ইউপি সদস্য শফিউর রহমান সোহাগকে আটক করা হয়।
শফিউল রহমান সোহাগ পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য।
সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের ১নং সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ঝুট ব্যবসা নিয়ে কৌন্দল চলছিল।
বুধবার (২৯ মার্চ) সকাল থেকে নয়ারহাট বাজার এলাকায় মোয়াজ্জেম হোসেন তার লোকজন নিয়ে বসেছিলেন। বিকেলের দিকে চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ানের লোকজনের সঙ্গে অতর্কিত ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও পাল্টাপাল্টি গুলি শুরু হয়।
এতে রহিম ও হালিম নামে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১০ জন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় রহিম ও হালিমকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রহিমকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত হালিমকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যান্যদের স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের সহযোগী চাকল গ্রামের মঞ্জু মিয়ার ছেলে সজিব, দুদু মিয়ার ছেলে হাবলু মিয়া, আতাউর রহমানের ছেলে শরীফ হোসেনসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় সন্ত্রাসীকে খুঁজছে পুলিশ।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির বাংলানিউজকে জানান, ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এক ইউপি সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আরও কয়েকজনকে আটকের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে।
লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৭
এমসি/এমজেএফ