তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থে আমি ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে রাজি। জাতীয় স্বার্থে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে প্রতিরক্ষাসহ যে কোনো চুক্তি আমরা করবো।
বুধবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে বুয়েট অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের হল সম্মেলন, নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মিথ্যাচারের ভাঙা রেকর্ড বাজায় আর খালি ইস্যু খোঁজে। এখন ইস্যু পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর। এ চুক্তি করা যাবে না, ও চুক্তি করা যাবে না বলছে। জাতীয় স্বার্থে আমি প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে রাজি। কেন করবো না? ভারতের সঙ্গে অবিশ্বাসের দেওয়াল তৈরি করতে না পেরে এখন তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। এখন তারা ভারত ভীতি সৃষ্টি করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করে ছিটমহল, সীমান্ত সমস্যার সমাধান করেছেন। শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি করেছেন। বিদ্বেষের হাত দিয়ে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা হয় না। বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করে এসব চুক্তি হয়েছে। গঙ্গার পানি চুক্তি হয়েছে, কিছু দিন আগে হোক আর পরে হোক তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন চুক্তিও হবে। ভারতের সঙ্গে কোনো গোলামির চুক্তি বঙ্গবন্ধু করেননি, তার কন্যা শেখ হাসিনাও করবেন না। যা কিছু চুক্তি হবে প্রকাশ্যেই হবে। এটা নিয়ে দুচিন্তার কোনো কারণ নেই।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, তারা যখন ক্ষমতায় থাকে তখন ভারত প্রীতি, আর যখন ক্ষমতার বাইরে থাকে তখন ভারত ভীতি। আমাদের ভারত প্রীতি, ভারত ভীতি নেই। আমাদের ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ। ওয়াশিংটন বা দিল্লি আমাদের ক্ষমতায় বসাবে না। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি আসবে না এটা আমি বিশ্বাস করি না। আগামী নির্বাচনে আপনাদের আসতে হবে তা না হলে দলের নিবন্ধনটা বাতিল হয়ে যাবে। নির্বাচনে আসেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লার মএতাই সুষ্ঠু হবে।
তিনি বলেন, আন্দোলনের কথা বলতে বলতে বিএনপির ৮ বছর পার হলো, আর কবে আন্দোলন হবে? দেখতে দেখতে ৮ বছর, আন্দোলন হবে আর কোন বছরে? একজন মানুষ বাঁচে কয় বছর? বিএনপি নির্বাচনে ব্যর্থ, আন্দোলনে, পেট্রোল বোমা মেরে ব্যর্থ। কুমিল্লায় না যুদ্ধ করতে করতে জিতে গেছেন। সামান্য ভোটে জিতেই এতো কথা। কুমিল্লা কি সারা দেশ?
জঙ্গিবাদের মদদ দেবেন না। জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে দেশের ক্ষতি করবেন না। শেখ হাসিনাকে ঠেকাতে গিয়ে বাংলাদেশকে ঠেকাবেন না। ‘তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে’। এদের প্রশ্রয় দিলে আপনারদেরও একদিন বিপদে পড়তে হবে, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
ছাত্রলীগের প্রতি সুশৃঙ্খল ছাত্র রাজনীতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছাত্র রাজনীতিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে- মেধা দিয়ে, যোগ্যতা দিয়ে, ব্যক্তিত্ব দিয়ে, ভালো আচার-আচরণ দিয়ে। যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব দেখিয়ে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলবে না। ভেতরে কিছু থাকতে হবে, পড়াশোনা করতে হবে।
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ্রজ্যোতি টীকাদারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাক এস এম জাকির হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৭
এসকে/এমজেএফ