ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

‘বিএনপি নেতারা আগুন সন্ত্রাসীদের জন্য কাঁদেন’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১১ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৭
‘বিএনপি নেতারা আগুন সন্ত্রাসীদের জন্য কাঁদেন’ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের আলোচনা সভায় বক্তারা

ঢাকা: আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেতারা আগুন সন্ত্রাসী, পেট্রোল বোমা হামলাকারীদের জন্য কাঁদেন। কিন্তু পেট্রোল বোমার আঘাতে যারা মারা গিয়েছিলেন, যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাদের জন্য কাঁদেন না।

বুধবার (১২ জুলাই) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ আয়োজিত ‘বিএনপি-জামাতের অগ্নি সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের রাজনীতি এবং নতুন প্রজন্মের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে পেট্রোল বোমা হামলা করে মানুষ হত্যা করার যে মহোৎসব সেটি বিএনপি-জামায়াত শুরু করেছিল।

পৃথিবীর কোথাও রাজনীতির নামে ক্ষমতায় যাওয়া বা একটি দলকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামানোর জন্য এভাবে মানুষ পুড়িয়ে মারার ঘটনা সমসাময়িক বিশ্বে ঘটেনি। যেটি বিএনপি ও তাদের দোসররা করেছে। বাংলাদেশ বলেই তারা রাজনীতি করতে পারছে। অন্য কোথাও হলে এতদিনে তারা সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ হয়ে যেত। কানাডার কোর্ট থেকে ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে রায় এসেছে।

আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র হাছান মাহমুদ বলেন, যখন পেট্রোল বোমায় ঝলসে শত শত মানুষ মারা গেল, হাজার হাজার মানুষ পঙ্গু হয়ে গেল তখন তো মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা কাঁদেননি। তাদের তো একবারও দেখতে যাননি। আজ কর্মীদের দূরাবস্থা দেখে তিনি কাঁদছেন। যারা সন্ত্রাসের রাজনীতি করেছে, যারা ঘুমন্ত নিরীহ মানুষের ওপর হামলা করে হত্যা করেছে তাদেরই আজ দূরাবস্থা হয়েছে। আমি ফখরুল সাহেবকে অনুরোধ করব সন্ত্রাসীদের জন্য আপনার মায়া কান্না বন্ধ করুন।

বিএনপি মহাসচিবের রাঙ্গামাটি সফরের ব্যাপারে তিনি বলেন, ফখরুল সাহেবের যাওয়ার কথা ছিল রাঙ্গামাটি সড়ক দিয়ে। কিন্তু তিনি যাচ্ছিলেন কাপ্তাই রোড হয়ে। এর কারণ কী? রাঙ্গামাটি সড়কে পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখেছিল। কিন্তু তিনি কাপ্তাই রোড হয়ে যাওয়ার সময় পুলিশকে জানাননি, এটি রহস্যজনক। এই রহস্যের জবাব আমরা পাইনি। আবার তার গাড়িতে সাধারণ মানুষ দুটি ঢিল ছোড়ার পরেই তিনি রাঙ্গামাটি না গিয়ে রাঙ্গুনিয়া থেকে ফিরে আসলেন কেন? আসলে কি তিনি ত্রাণ দিতে যাচ্ছিলেন? তার গাড়িতে তো কোনো ধরনের ত্রাণই ছিল না। আসলে তিনি গিয়েছিলেন একটি ঘটনা ঘটানোর জন্য, ত্রাণ দিতে নয়।

কবি ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহারের অপহরণ প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ফরহাদ মজহার নিখোঁজ হওয়ার পরে এটা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করতে চেয়েছিল। কিন্তু ১৮ ঘণ্টা পরে উদ্ধার হওয়ায় বিএনপি হতাশ হয়ে গেলো। আর এখন যেগুলো পত্রপত্রিকায় দেখছি এগুলো বলতে লজ্জা লাগছে। বিএনপি নেতারা এটা নিয়ে কথা বলছিলেন সেই বিএনপি নেতারা কী এখন এসব দেখে লজ্জা পান না?

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আসাদুজ্জামান দূর্জয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি। উপস্থিত ছিলেন, নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খানের সহধর্মীনি সৈয়দা রোকেয়া বেগম, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক মুন্সি এবাদুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন শফি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৭
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ এর সর্বশেষ