ঘটনা রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার। গাবতলীতে বিআরটিসি বাস ডিপোর উদ্বোধন অনুষ্ঠান।
বিরক্ত মন্ত্রী ডিপো অনুষ্ঠানের মঞ্চেই উঠতে চাননি। গাছ রোপন, আর ফলক উন্মোচন করে দিয়েই বলেন, 'আর কি, উদ্বোধন তো হয়ে গেলো। অনুষ্ঠানের আর দরকার নেই। এটা অহেতুক। এতে দেশের অনেক ক্ষতি হয়। '
এসময়ও তার সঙ্গে ছিলেন কাউন্সির ইতি। মঞ্চ থেকে চেয়ার নামিয়ে দেয়ায় মঞ্চে স্থানীয় এমপি (ঢাকা ১৪) আসলামুল হক ছাড়া অন্য নেতাদের জায়গা হয়নি। ইতি মঞ্চের সামনের চেয়ারে বসেন। পরে উঠে যান। তারপরও মন্ত্রীর নজর কাড়তে বার বার চেষ্টা করেন ইতি।
কেন কি কথা? জানতে চাইলে মুখ খোলেন ইতি। বলেন, 'এমপি সাহেব আর আমার...। এক সময় অনেক বসছি। অনেক কথা টথা। অতকিছু মেনটেন করি না। উনি আমাদের বড় ভাই। কানে কানে কিছু কথা বলতে চাইছিলাম। স্টেজে বলা সম্ভব না। অনেক সময় ফোনে পাওয়া যায় না। '
কথা বাড়িয়ে আরো বলেন, 'সামনে নির্বাচন না? বুঝতেই পারতেছেন। আমি কিন্তু ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তাই কিছু কথা বলতে চাইছিলাম। আসলে কোন ব্যাপার না। অফিসে যাবো। কিছু একটা ব্যাপারে চাইতাম। আমি কিন্তু দল থেকে মনোনয়নপ্রাপ্ত। '
তিনি রাজিয়া সুলতানা ইতি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত ৯, ১০ ও ১১ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর। 'জাতীয় নির্বাচনে তার সম্ভাবনা প্রবল, মানুষ চাচ্ছে'-এটাই মন্ত্রীর কানে দিতে চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত মন্ত্রীর কানে কথাটা গেলো না। কেবল একটু সঙ্গে থাকা হলো। অনুষ্ঠান বেশ সংক্ষিপ্ত করে গাবতলী ছাড়েন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭
এসএ/জেডএম