বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় রাইফেল ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিকের হাতে করোনা প্রতিরোধে বেশ কিছু পার্সোনাল প্রটেকশন ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) সামগ্রী তুলে দেন।
শামীম ওসমান বলেন, করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রত্যেকটি সেক্টর ও সর্ব স্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা যেভাবে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন সেটা প্রশংসনীয়। আমাদের দেশ থেকে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান ঘটে যাবে। যে দেশের রাষ্ট্রনায়ক আল্লাহওয়ালা হন, সেই দেশে অশেষ রহমত অবশ্যই থাকে।
‘নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করবো, আপনি নিজেকে বাহাদুর, সাহসী প্রমাণ করতে চাইলে বাসায় থাকুন, ঘরে থাকুন। দয়া করে বের হবেন না। আপনাকে সচেতন হতে হবে। বিনা কারণে আপনি বাহাদুরি দেখালে করোনা ভাইরাস ছড়াবে। সবার মৃত্যু হবে। এ মৃত্যু অনেক করুণ। মৃত্যুর পরে কেউ কাছে আসতে পারবে না। ’
করোনা প্রতিরোধে নিজের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে শামীম ওসমান বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই নীরবে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে ১৫ থেকে ২০ হাজার লোকের পাশে দাঁড়ানোর তৌফিক হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব কাজ আমি গোপনে করেছি, কিন্তু এখন প্রকাশ্যে করছি, যাতে লোকজন উৎসাহিত হয়ে এগিয়ে আসে। সে কারণেই আমি নিজের কষ্টার্জিত উপার্জন থেকে ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছি।
অনেকেই আত্মসম্মানের কারণে সাহায্যো চাইতে পারছেন না, তাদের কথা উল্লেখ করে এ সংসদ সদস্য বলেন, এক শ্রেণীর মানুষ সহজেই লোকজনের কাছে চাইতে পারছেন, কিন্তু আরেক শ্রেণীর মানুষ আছেন, যারা বলতে পারেন না। তাদের পাশে দাঁড়ানোও আমাদের জন্য কর্তব্য।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাড়িওয়ালা ও সিটি করপোরেশনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, আমি বলবো, যারা বাড়িওয়ালা আছেন তারা এক মাসের ভাড়া মওকুফ করেন। এটা যাকাত হবে। সিটি করপোরেশনের কাছে অনুরোধ করবো, বাড়ি ভাড়ার হোল্ডিং ট্যাক্সটা নিয়েন না। ছোট ছোট দোকান থেকে ট্যাক্সটা নিয়েন না। প্রয়োজনে কম খাবো, কম পরবো, কিন্তু সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২০
এমআরপি/এইচজে