ঢাকা: বাহরাইনে কর্মরত থাকার সময় এক বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যার পর টুকরো করে কেটে সুটকেসে ভরে ফেলে দেওয়ার দুই মাস পর মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।
এ সময় তার শরীরের মাংস পচে-গলে যাওয়ার কারণে হাড় ছাড়া আর কিছু ছিল না।
নিহত এ বাংলাদেশি নাগরিকের নাম হারিস কানু মিয়া। তিনি দুই মাস আগে নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশ স্টেশনে জিডি করা হয়। এরপর পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করতে থাকে।
এরপর ৪ আগস্ট হামাদ শহরে আল লওজি হাউজিং প্রজেক্টে কাজ করার সময় শ্রমিকেরা নির্মাণাধীন একটি ভবনের ভেতর সুটকেটটি খুঁজে পান।
এরপর সেটি অনেক ভারী মনে হলে ভেতরটা খুলে দেখেন তারা। এ সময় মানুষের গলিত মরদেহ দেখতে পান তারা। তারা দেখেন মরদেহের মাংস পচে গলে পড়েছে।
এরপর খবর দিলে পুলিশ এসে সুটকেসে রাখা টুকরো করে কাটা মরদেহটি উদ্ধার করে।
এদিকে, দুই মাস আগে বাংলাদেশি নাগরিকের নিখোঁজের বিষয়টি বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করে পুলিশ। কিন্তু মরদহটি বাংলাদেশের নয় বলে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জানানো হয়।
এরপর জিডি অনুসারে নিহত ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড ফরেনসিক সায়েন্স ডিরেক্টরেটের তদন্ত দল নিহত বাংলাদেশির সহকর্মী ও রুমমেটদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময়ই হত্যার মূল রহস্য বের হয়ে আসে। আর্থিক দ্বন্দ্বের কারণে হারিস কানুকে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহটি কেটে টুকরো করে ব্রিফকেসে ভরা হয়।
পরে সেটিকে মানামা থেকে হামাদ শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আল লওজি হাউজিং প্রজেক্টের নির্মাণাধীন একটি ভবনের পরিত্যক্ত স্তূপের মধ্যে সুটকেটটি রেখে দেয় হারিসের হত্যাকারীরা।
নিহত হারিসের গলিত মরদেহ উদ্ধার ও জিজ্ঞাসাবাদের পরেই স্থানীয় পুলিশ বিভাগ জানতে পারে নিখোঁজ যে বাংলাদেশিক তারা খুঁজে ফিরছে, এই মরদেহ সেই হতভাগ্য হারিস কানু মিয়ার, যিনি একটু ভালো থাকার আশায় বাংলাদেশ থেকে বাহরাইনে পাড়ি জমিয়েছিলেন।
বাহরাইনের ডেইলি ট্রিবিউন নিউজ (ডিটি নিউজ) শনিবার এ তথ্য প্রকাশ করে। কিন্তু নিহতের বাড়ি ও খুনি রুমমেটদের নাম-পরিচয় কিংবা কোন দেশের নাগরিক তা প্রকাশ করেনি।
এ ছাড়াও বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসের কোনো প্রতিক্রিয়া তারা প্রকাশ করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৪