বাহরাইন: যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বাহরাইনে উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহা।
শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ছয়টায় জুপের গ্রান্ড মসজিদে প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
আগত মুসল্লিদের বেশিরভাগই বাংলাদেশী,পাকিস্তানি ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক। বাংলাদেশ দূতাবাসের দুই কাউন্সিলর মেহেদী হাসান ও মুহিদুল ইসলাম এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
এ ছাড়াও মানামা,গুদাইবিয়া,রাস রোমান,মোহাররাক,সালমাবাদ,রিফা,জালালী,আল দাইর,আলী, ,তুবলী,আরাদ,সার,ঈসা টাউনে ফজরের নামাজের পরপরই ঈদের জামাত সম্পন্ন হয়।
হামাদ টাউনে বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকায় বাঙ্গালিদের একটি জামায়াত সকালে অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের নামাজে ফিলিস্তিনে মুসলমানদের জন্য বিশেষ প্রার্থনা ও বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মার শান্তি,কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
জামাত শেষে চিরাচরিত নিয়মানুযায়ী বাংলাদেশী প্রবাসীরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন।
নামাজের পরপরই প্রবাসীরা কোরবানি দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। যত্রতত্র পশু জবাইতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় প্রবাসীরা কেউ বাগানে,বাসার পার্শ্বে,রুমে,কিচেনে পশু কাটাকাটি করতে দেখা যায়। আবার অনেককে ব্যবহৃত স্থান পরিষ্কার করতে ও দেখা যায়।
ঈদের অনুভূতি জানাতে গিয়ে নজরুল নামে এক প্রবাসী বলেন– প্রবাসীদের ঈদটা একটু কষ্টের ও বেদনাদায়ক। কারণ আনন্দের দিনে পরিবার,প্রিয়জন কাছে না থাকায় মনটা বিষন্ন হয়ে ওঠে।
রাষ্ট্রদূত ঈদের ছুটিতে থাকায় “বাংলাদেশ হাউসে” প্রবাসীদের ঈদ সংবর্ধনা হয়নি তবে দূতাবাসের কাউন্সিলর মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে জানান, রাষ্ট্রদূত ফিরলে এ অনুষ্ঠান হবে।
ঈদের দিন বিকেলে প্রবাসীরা একে অপরের রুমে গিয়ে আড্ডা, খোশগল্পে মেতে ওঠেন। পরিবারের নিঃসঙ্গতা কাটিয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগের চেষ্টা করে।
এছাড়া ও ঈদের দিন বিকেলে অনেক প্রবাসীকে জাল্লাক সি বিচে সমুদ্র স্নান, ফুটবল ও ক্রিকেট খেলতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৪