মানামা (বাহরাইন): ছয় মাস ধরে বেতন না পাওয়া বাহরাইন প্রবাসী ১০৬ বাংলাদেশি শ্রমিকের বেতন-ভাতার বিষয় নিয়ে লেবার মার্কেট রেগুলেটরি অথরিটি (এলএমআরএ)এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটির বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল কে এম মমিনুর রহমান।
রাষ্ট্রদূত বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে এলএমআরএ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আউসামা আবদুল্লা আল আবছির সঙ্গে এ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রদূত বাংলানিউজকে জানান, আউসামা আবদুল্লা আল আবছি বিষয়টি সমাধানের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন।
১০৬ বাংলাদেশি শ্রমিক বাহরাইনের ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি অ্যান্ড মেনটেইননেন্স কোম্পানি (আইএসএমসিও-ডব্লিউএলএল) নামে একটি নিরাপত্তা কোম্পানিতে কাজ করেন। তারা ৬ মাস ধরে বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা বঞ্চিত।
বৈঠকে এলএমআরএ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল কে এম মমিনুর রহমান বলেন, মোট ৬০ জন শ্রমিককে নিয়ে গিয়ে সেখানে অভিযোগ দেওয়া হয়।
আউসামা আবদুল্লা আল আবছি বিষয়টি মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। অভিযুক্ত কোম্পানির চেয়ারম্যান, এমডিসহ পুরো ম্যানেজমেন্টকে ডাকা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বিভিন্ন কোম্পানিতে নানাভাবে প্রবাসীরা হয়রানিসহ ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল। আমরা সবসময় চেয়েছিলাম কোনো কোম্পানির সঙ্গে সংঘর্ষে না গিয়ে সুন্দর সমাধানের জন্য।
তবে অনেকে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সরলতাকে পুঁজি করে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে। এ সুযোগ আর কাউকে দেওয়া হবে না।
শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে মামলা করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন রাষ্ট্রদূত কে এম মমিনুর রহমান।
বাংলাদেশ দূতাবাসের (শ্রম) কাউন্সিলর মহিদুল ইসলাম বাংলানিজকে বলেন, কোম্পানির ৬০ জন শ্রমিককে নিয়ে এলএমআরএ-তে অভিযোগ করি। এলএমআরএ প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী ওই কোম্পানি থেকে শ্রমিকদের বকেয়া বেতনসহ ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টা করবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছে।
এ সময় তিনি আরো জানান, অভিযুক্ত কোম্পানি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের আর ওই কোম্পানিতে ফেরত পাঠানো হবে না। তাদেরকে অন্য কোম্পানিতে ভিসা পরিবর্তন করে কাজের সুযোগ করে দেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৪