মানামা (বাহরাইন): অনেক দেন-দরবারের পর প্রত্যাশিত বকেয়া বেতন হাতে পেয়ে আবার কাজে যোগ দিয়েছেন বাহরাইনের ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি অ্যান্ড মেইনটেইননেন্স কোম্পানির (আইএসএমসিও) বাংলাদেশি শ্রমিকরা।
তারা জানান, দূতাবাসের সহযোগিতায় এবং লেবার মার্কেট রেগুলেটরি অথরিটি (এলএমআরএ)ও লেবার কোর্টের হস্তক্ষেপে তারা আবার কাজে ফিরে এসেছেন।
চাঁদপুরের কচুয়ার মিজানুর রহমান জানান, কোম্পানি ইতোমধ্যে তাদের জুন পর্যন্ত বেতন পরিশোধ করেছে। আগামী ১০ নভেম্বর বাকি আরো এক মাস এবং এ মাসের শেষে আরও একটি বেতন পরিশোধ করবে।
কক্সবাজারের লুতু মিয়া জানান, ৫ মাস আগে হালের গরু-ছাগল ও একমাত্র ফসলি জমি বিক্রি করে এক লাখ টাকা ও মাসিক ৬ টাকা হারে মহাজনি সুদে আরো তিন লাখ টাকা ঋণ নিয়ে তিনি বাহরাইন আসেন। কিন্তু কোম্পানি থেকে তিনি একটি টাকাও বেতন পাননি।
সর্বশেষ গত রবিবার লুতু মিয়া ২ মাসের বেতন পান। আগামী ২ মাসের মধ্যে তার সম্পূর্ণ বেতন পরিশোধ করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়েছে।
শ্রমিকরা জানান, কোম্পানি এখন তাদের সঙ্গে ভাল আচরণ করছে। তাদের ডিউটি রুটিন ও গাড়ীর সমন্বয়ের জন্য বাংলাদেশি মনিরুল ইসলামকে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ দূতাবাসের (শ্রম) কাউন্সিলর মহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এলএমআরএ ও লেবার কোর্টের হস্তক্ষেপের পর মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের কাজে দিয়ে এসেছি। এলএমআরএ এর নির্দেশনা মোতাবেক আইএসএমসিও কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করছে।
‘আমরা শ্রমিকদের বলে এসেছি, কখনো যদি কোনো ঝামেলা হয় সঙ্গে সঙ্গে দূতাবাসকে জানানোর জন্য। এখন শ্রমিকদের ওভারটাইম ঠিকমতো লিখা হচ্ছে এবং এ ধরনের ঘটনার কখনো পুনরাবৃত্তি হবে না বলে কোম্পানি আমাদের আশ্বস্ত করেছে। ’
কাউন্সিলর মহিদুল ইসলাম জানান, এরপর কোনো শ্রমিক চাইলে তার পছন্দমতো অন্য যেকোনো কোম্পানিতে ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৪