বাহরাইন: মানামার বাঙালি গলির কাছ থেকে মোহাম্মদ বাবলু মিয়া (২৮) ও আল হামালা থেকে জহির (৩২) নামে দুই বাংলাদেশি শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার (১৮ অক্টোবর) মানামা সেন্টারের বাঙালি গলির বিপরীত পাশের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার নিজ কক্ষ থেকে মোহাম্মদ বাবলু মিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে নাঈম থানা পুলিশ।
বাবলু হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার পশ্চিম বিটংগল এলাকার নাজারপুর গ্রামের মোহাম্মদ হেলাল মিয়ার ছেলে।
এর আগে শনিবার (১৭ অক্টোবর) স্থানীয় আল হামালায় নিজ কক্ষ থেকে জহিরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে হামাদ টাউন থানা পুলিশ।
জহির নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার গোপালপুর এলাকার কোটারা মহব্বতপুর গ্রামের মৃত মফিজ উল্লা মেম্বারের ছেলে।
বাহরাইনের বাংলাদেশ দূতাবাস, নিহতের আত্মীয়-স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, আল হামালার জহির চার বছর আগে বাহরাইনে এসে স্থানীয় একটি মিট ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। ফ্যাক্টরির পাশের একটি ভবনে জহির তার তিন সহকর্মী নিয়ে থাকতেন।
ঘটনার দিন সকালে সহকর্মীরা কাজে যাওয়ার সময় তাকে মোবাইলে কথা বলতে দেখেন। ডিউটির সময় পেরিয়ে গেলেও তাকে কাজে অনুপস্থিত দেখে কারখানার মালিকের ছেলে তাকে ডাকতে যান। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে তিনি স্থানীয় থানায় খবর দেন।
পরে পুলিশ ও বাংলাদেশ দূতাবাসের জনকল্যাণ কাজে নিয়োজিত প্রতিনিধি তাজ উদদীন এসে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে।
অপরদিকে মানামায় নিহত মোহাম্মদ বাবলু মিয়ার ব্যপারে নিহতের আত্মীয়-স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, বাবলু মানামার বাঙালি গলির কাছের একটি কক্ষে নয়জনের সঙ্গে থাকতেন। সকালে রুমের অন্যরা কাজে যাওযার সময় তিনি একা অবস্থান করছিলেন।
বিকেলে তারা কাজ থেকে ফিরে বাবলু মিয়াকে রুমে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে স্থানীয় থানায় খবর দেন।
পরে পুলিশ ও বাংলাদেশ দূতাবাসের জনকল্যাণ কাজে নিয়োজিত প্রতিনিধি তাজ উদদীন এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
দু’জনের মরদেহই সালমানীয়া মেডিকেল কমপ্লেক্স হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৫
এএ