ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায়, ক্রাউন প্লাজা মালিক পক্ষ হোটেল পরিচালনার জন্য থাইল্যান্ডের একটি কোম্পানিকে ইজারা দেয়। তারা ব্যবসা পরিচালনা করে লভ্যাংশ তুলে নিলেও বৈধ ভিসাধারী শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ করেনি ।
অপরদিকে এ বছরের জানুয়ারিতে মালিকপক্ষের সাথে থাইল্যান্ডের কোম্পানির চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মালিকপক্ষ ভারতের কেরালার অন্য একটি কোম্পানিকে হোটেলটি ইজারা দেয়।
কেরালার কোম্পানি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তারা বাংলাদেশি শ্রমিকদের সাথে বৈরী আচরণ শুরু করে। বকেয়া বেতন দাবি করায় একই দিনে ৬ বাংলাদেশিকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করা হয় ।
ফারুক আহমেদ নামে এক শ্রমিক বাংলানিউজকে অভিযোগ করে বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে বকেয়া বেতন দাবি করলে তাকে সহ ৬ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই তালিকায় ১৫ বাংলাদেশি ছাড়াও ৫ জন ফিলিপাইনের শ্রমিক রয়েছে বলেও তিনি জানান ।
এ অবস্থায় চাকরি ও বাসস্থান উভয় হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জামাল উদ্দীন,ফজলুল হক, মো.উল্লা, সুমন, রাজীব হাওলাদার, ইসমাঈল, মিথুন কুমার শীল,ওমর ফারুক, হারিছ, ইলিয়াস কাঞ্চন, সাহাবুদ্দীন ও মো. হারুন নামে বাংলাদেশিরা। এরা প্রত্যেকে ৪/৫ বছর ধরে এ হোটেলে সুনামের সাথে কাজ করে আসছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কোম্পানির ম্যানেজার আবদুস জাহারার সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি ।
প্রবাসীরা তাদের অসহায়ত্বের খবর এ প্রতিবেদককে জানালে তিনি তাদেরকে নিয়ে বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) কে এম মমিনুর রহমানের সাথে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেন,রাষ্ট্রদূত তাদের অভিযোগ শুনে তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশ দূতাবাসের জনকল্যাণ প্রতিনিধি তাজ উদ্দীন সিকান্দারকে মালিকপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি আশু সমাধানের নির্দেশ দেন ।
এ খবর লেখা পর্যন্ত দূতাবাসের হস্তক্ষেপে স্থানীয় পুলিশের মধ্যস্থতায় মালিকপক্ষের সাথে বৈঠকের চেষ্টা চলছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
আরআই