দূতাবাস সূত্রে জানা যায়-যে সব প্রবাসী বৈধভাবে বাহরাইনে আসার পর (চুক্তির মেয়াদ থাকা অবস্থায়) ভিসা বাতিল করা হয়েছে বা দালালের প্রতারণার শিকার হয়েছেন তাদের ভিসার কপি বা সাথে থাকা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ শুক্রবার সন্ধ্যায় দূতাবাসে হাজির হবার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দূতাবাসের একটি বিশ্বস্ত সূত্র বাংলানিউজকে জানিয়েছে, বৈঠকে অবৈধ প্রবাসীদের তালিকা তৈরি, তাদের বৈধ করার জন্য করণীয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
অন্যদিকে হঠাৎ করে ভিসা বন্ধের ঘোষণা প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। দিনব্যাপী মানামা, মুহাররাক ও রিফার বাঙালি গলিতে সর্বত্র এ নিয়ে আলোচনায় মত্ত উৎসুক প্রবাসীরা । একে অপরকে ফোন দিয়ে এ নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায়। সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সবচেয়ে সরব দেখা যায় প্রবাসীদের।
নাসিরউদ্দীন সানী নামে এক প্রবাসী বাংলানিউজকে বলেন, বাহরাইনজুড়ে বিশ হাজারেরও বেশী বাংলাদেশি কর্মহীন হয়ে ঘুরছেন। থাকার রুম ও খাবার না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন পাঁচহাজারেরও বেশী প্রবাসী।
শরিফ নামে কুমিল্লার এক প্রবাসী বাংলানিউজকে বলেন, মানামা আল দাসমাহ বেকারি সংলগ্ন এলাকায় পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি শ্রমিক কাজের খোঁজে সারাদিন হন্যে হয়ে ঘোরেন। এদের রুম ও খাবার কোনটিই নেই। এরা খোলা আকাশ ও মসজিদের বারান্দায় চুরি করে ঘুমায়। এদের কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
দুলাল উদ্দীন নামে এক প্রবাসী বাংলানিউজকে জানান, আরও এক বছর আগে এ পদক্ষেপ নিলে এ পরিস্হিতির সৃষ্টি হতো না। অবৈধরা বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজের সুযোগ নিয়ে বৈধ হতে পারত।
নতুন করে কর্মসংস্হান তৈরি না হওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের মাত্র ৮০০ বর্গ কিলোমিটারের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র বাহরাইনে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। তাই শ্রমিক ছাঁটাই করছে বাহরাইনের বড় বড় কোম্পানিগুলো। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে ভিসা দিয়ে শ্রমিকদের বাহরাইনে এনে অনিশ্চয়তার মধ্যে না ফেলার আকুতি জানিয়েছে সাধারণ প্রবাসীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৭
জেডএম/