ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবভিত্তিক কিছু সেবা ৩৬ ঘণ্টা বন্ধ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৩
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবভিত্তিক কিছু সেবা ৩৬ ঘণ্টা বন্ধ

ঢাকা: ওয়েবভিত্তিক কয়েকটি সেবা ৩৬ ঘণ্টা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, ‘জরুরি সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম সম্পাদনে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু ওয়েবভিত্তিক সার্ভিস ১৪ আগস্ট রাত ৮টা থেকে ১৬ আগস্ট সকাল ৮টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ’

এর আগে জাতীয় শোক দিবস ঘিরে সাইবার হামলার ঝুঁকি এড়াতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

সাইবার হামলার ঝুঁকি রোধে বাংলাদেশ ব্যাংক সেবা বন্ধ রাখছে, এমন তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক।  

জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা আপডেট রাখতে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। সাধারণত বন্ধের দিনে এসব কার্যক্রম করতে হয়। এরই অংশ হিসেবে সোমবার রাত ৮টা থেকে থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত কিছু ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা বন্ধ থাকবে। ’ 

১১ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক এক নির্দেশনায় ১৫ আগস্ট সম্ভাব্য সাইবার হামলার ঝুঁকি এড়াতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ১১টি নির্দেশনা দেয়।  

সাইবার হামলা এড়াতে উল্লেখযোগ্য নির্দেশনার মধ্যে ছিল, ২৪ ঘণ্টা, বিশেষ করে অফিস সূচির বাইরের সময়ে নেটওয়ার্ক অবকাঠামোয় নজরদারি রাখতে হবে এবং কেউ তথ্য সরিয়ে নিচ্ছে কি না, তা খেয়াল রাখতে হবে।  সাইবার আক্রমণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনতে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।  

এ ছাড়া নেটওয়ার্কে অনিরাপদ কার্যক্রম শনাক্তের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্ত করতে ওপেন ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি প্রজেক্টের (ওডব্লিউএএসপি) সর্বশেষ নির্দেশিকা মানতে হবে।

হ্যাকারদের একটি দল বাংলাদেশে সাইবার হামলার হুমকি দেয়। এ হামলার সম্ভাব্য দিন বলা হয় ১৫ আগস্ট। ওই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (বিজিডি ই-গভ সার্ট) থেকে ইতোমধ্যে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

৭ আগস্ট বিজিডি ই-গভ সার্টের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাইবার হামলায় রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো (সিআইআই), ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। এতে ছোট বা মাঝারি ধরনের সাইবার হামলা ঠেকানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে পূর্বপ্রস্তুতি নিতে বলা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৩
জেডএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।