ঢাকা: ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কর্মাস ব্যাংক লিমিটেডের (এনসিসিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম হাফিজ আহমেদ বলেছেন, বিদেশি ঋণ নিয়ে গ্রাহকরা ভালো থাকলেই আমরা (ব্যাংক) ভালো থাকবো।
দেশের ব্যাংকগুলোতে বিপুল পরিমাণ অলস টাকা পড়ে থাকার পরও বিদেশি ঋণের প্রতি গ্রাহক আকৃষ্ট হওয়ার কারণ জানতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মঙ্গলবার (১৭মে) ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিদেশিরা আমাদের ব্যবসায় ভাগ বসাচ্ছে। বিদেশিদের কাছ থেকে মাত্র ৩ শতাংশ সুদে টাকা নিয়ে ৬-৭ শতাংশে ঋণ দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। মার্কেটে কিছুটা গেম চেঞ্জ হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বাংলাদেশ ব্যাংক) দেশী ব্যাংকের ঋণের সুদ কমাতে বাধ্য করেছে।
হাফিজ আহমেদ বলেন, আমাদের বিভিন্ন স্কিমের অনেক ডিপোজিট আছে। অনেক আগে করা এসব স্কিমের রেট অনেক বেশি। এসব রেট অ্যাডজাস্ট করতে সময় লাগছে। এতে যে গতিতে ঋণের সুদ কমেছে সে গতিতে আমানতের সুদ কমেনি। খুব তাড়াতাড়ি আমানতের সুদ এক সংখ্যায় চলে আসবে।
এ সময় ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ জেড এম সালেহ বলেন, সময়ের বিবর্তনে আমরা গ্রাহকের চাহিদার কথা বিবেচনা করে প্রতিনিয়ত নানা রকম পণ্য চালু করেছি। যারা ব্যাংকিং সেবার বাইরে আছে, তাদেরকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনার চেষ্টা করছি। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কৃষি ঋণ বিতরণের প্রতি।
স্কিমিং ডিভাইস বসিয়ে গ্রাহকের তথ্য চুরির পর নকল কার্ড তৈরি করে টাকা তোলা ও হ্যাংকিং রোধে ব্যাংকের আগাম প্রস্তুতি থাকে না কেন জানতে চাইলে শামসুর রহমান বলেন, আগে রোধ করার চেষ্টা সবার থাকে। যেখানে যেখানে লুপ হোল পাওয়া যায় সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তারপরও অনেক দুর্ঘটনা ঘটে যায়। বিদেশে এজন্য থ্রেট ম্যানেজমেন্ট কমিটি কাজ করে। বাংলাদেশ ব্যাংক সবগুলো ব্যাংককে নিয়ে এ ধরনের একটি কমিটি গঠন করতে পারে। এ সময় আরও বক্তব্য দেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান।
চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকটি ১১ হাজার ১৮২ কোটি ৪৫ টাকা আমানত সংগ্রহের বিপরীতে ১০ হাজার ৭১৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। গত বছর পর্যন্ত ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ছিল ৩৮৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৮৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০৪টি শাখার মাধ্যমে অনলাইন, এসএমএস ব্যাংকিংসহ সবধরণের সেবা দিয়ে আসছে এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৬
এসই/আরআই