তাছাড়া ঋণ প্রবৃদ্ধিও প্রত্যাশার তুলনায় ছিল কম। তবে সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল এবং আমদানি-রপ্তানি বাণিজে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি থাকায় ব্যাংকগুলো আগের বছরের চেয়ে বেশি মুনাফা করেছে।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সারাবছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব করে ব্যাংকগুলো। ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ একাধিক সূত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ।
পরিচালন মুনাফা ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা নয়। নিট মুনাফাই ব্যাংকের প্রকৃত আয়। পরিচালনগত মুনাফা থেকে ঋণের বিপরীতে সঞ্চিত (প্রভিশন) এবং কর (৪২ দশমিক ৫ শতাংশ) বাদ দিয়ে নিট মুনাফার পরিমাণ হয়।
এর ওপরও ব্যাংকবিশেষে সাধারণ রিজার্ভ খাতে অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়। ফলে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীকে অপেক্ষা করতে হবে নিট বা প্রকৃত মুনাফার হিসাব পাওয়া পর্যন্ত। আবার অনেক ক্ষেত্রেই নিট মুনাফা হলেও তার সম্পূর্ণ অর্থ লভ্যাংশ আকারে বিতরণ করা হবে না।
যার কারণে শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ পাওয়ার হিসাব কষতে অপেক্ষা করতে হবে ব্যাংকের এজিএমের আগের পরিচালনা পর্ষদের সভার সিদ্ধান্ত পর্যন্ত। উপরন্তু, সংবাদপত্রের মুনাফার তথ্য প্রাপ্তিতে নানা বাধা রয়েছে। ফলে এমনও হতে পারে যে কোনো ব্যাংক সূত্র একটি কাছাকাছি অঙ্কের মুনাফার তথ্য দিয়েছে। এটাকে প্রাথমিক তথ্য বিবেচনা করা যায়।
বিশ্বব্যাপী পরিচালন মুনাফা প্রকাশ একটি স্বীকৃত বিষয়। যদিও বাংলাদেশে এই পরিচালন মুনাফা প্রকাশে নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। এই বিধিনিষেধ এসেছে বিএসইসির অনুরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। তবে শেয়ারবাজারে যারা প্রতিনিয়ত কেনাবেচা করেন এবং যাদের কোনো ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগ রয়েছে, তারা ব্যক্তি যোগাযোগের মাধ্যমেই এ তথ্য পান।
এ বিষয়ে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিস এ খান বলেন, বর্তমানে রাজনৈতিক পরিবেশ বেশ স্থিতিশীল রয়েছে। বিনিয়োগ কিছু কিছু হচ্ছে।
তাছাড়া দেশের মোট দেশজ উৎপাদন বাড়ছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ব্যাংকের অনেক বড় একটি ভূমিকা থাকে। তার প্রতিফলন তো ব্যাংকের মুনাফায় পড়বেই। তবে অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা আরো ভালো থাকলে মুনাফা আরো কিছুটা বেশি হতো। যোগ করেন আনিস এ খান।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৭
এসই/এইচএ/