বছরে ৪ হাজার ২শ’ মেট্রিক টন সুতা উৎপাদনে স্পিনিং মিলস প্রতিষ্ঠার জন্য পরিচালনা পর্ষদের ৮৮৭তম সভায় ২০১২ সালে প্রথম দফায় ৭৬ কোটি টাকা এবং দ্বিতীয় দফায় ২০১৫ সালে পর্ষদের ৯৬৫তম সভায় ২০ কোটি টাকা বিতরণ করেছে।
এই ঋণের বিপরীতে কারখানা ভবন, জমি, মেশিনারিসহ মোট ১শ’ ৭৭ কোটি ২৬ লাখ টাকার সম্পত্তি জামানত হিসেবে নিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়েকে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ সম্পত্তির মূল্য বাবদ অর্থ পরিশোধ করেছে মিল কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছ থেকে এই জমির অনাপত্তি গ্রহন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
রেলওয়ের জমি বন্ধক গ্রহনের বিষয়ে ব্যাংকের আইনজীবীর মতামতের ভিত্তিতে জমিটি ব্যাংকের অনুকলে বন্ধকী দলিল সম্পাদন করা হয়েছে। যদিও রেলের এই জমিটি মূল ফ্যাক্টরি ভবন থেকে অনেক দূরে রাস্তা সংলগ্ন।
বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে, শুধু রেলওয়ের লিজের জমি বন্ধকের বিপরীতে ঋণ দিয়েছে রূপালী ব্যাংক। যে কোনো ধরনের জমি লিজের মেয়াদ ৯৯ বছর হলে তা জামানত হিসেবে নেওয়া যায়। ঋণের প্রথম কিস্তি ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর বিতরণ করা হয়েছে। এখনো চার বছরই পার হয়নি।
প্রকল্প বাস্তবায়নে অথবা বাস্তবায়িত হলেও যে কোন নিরীক্ষক দল অডিট আপত্তি তুলতে পারে। নিরীক্ষক দলের পক্ষে প্রকল্পের যে সব ত্রুটি বিচ্যুতি উল্লেখ করা হয় সেগুলো পরবর্তীতে যৌক্তিক কোন কাগজপত্র ও সঠিকভাবে পরিপালন করে অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করা হয়ে থাকে।
এছাড়াও মিলের জন্য বিশ্বের স্বনামধন্য কোম্পানি Societe general de surveillance (SGS) এর আমদানি করা মেশিনারির প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির মূল প্রকল্প ভবন নির্মাণের কাজ প্রায় শতভাগ সম্পন্ন। আমদানি করা মেশিনারি-যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। শিগগিরই প্রকল্পটি পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যাবে।
এ বিষয়ে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আতাউর রহমান প্রধান বলেন, রেলওয়ের কোনো জমির লিজের মেয়াদ ৯৯ বছর হলে তা জামানত হিসেবে রাখা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭
এসই/জেডএম