বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) মিলনায়তনে ‘মুদ্রানীতি (জানুয়ারি-জুন)’ শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মো. আখতারুজ্জামান।
মূল আলোচক বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা আখতারুজ্জামান বলেন, চলতি অর্থ বছরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৬ দশমিক ৯ শতাংশ এবং বিশ্ব ব্যাংক ৬ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিলেও মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। গত ১৫ বছর ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। উচ্চ প্রবৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারিখাত বিনিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ পাবে।
তিনি বলেন, সরকার বাজেটে ঘোষণা দিয়েও প্রয়োজন না হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ব্যাংক ঋণ নিচ্ছে না। এ কারণে আরও ২০ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ব্যাংকিংখাতে সুশাসন দিনে-দিনে আরও বাড়ছে মত দিয়ে আখতারুজ্জামান বলেন, তবে পুরনো খেলাপি ঋণের বোঝা এখনও ব্যাংকগুলোর ঘাড়ে চেপে আছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে ব্যাংকগুলোর আরও নজরদারী বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।
বিআইবিএমের সুপার নিউমারারি অধ্যাপক এবং পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমেদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন মুদ্রানীতি অনেক ভারসাম্যের করে তৈরি করেছে। ব্যাংকের অর্থ শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতে হস্তক্ষেপ করেছে। তবে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ব্যাংকের অর্থ নয় বরং দরকার বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন।
মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা সরকারের ঋণ নেওয়ার একটি ক্যালেন্ডার তৈরির ওপর জোর দেন। বলেন, সরকারের ঋণের কোনো সূচি না থাকায় ঝুঁকিতে পড়ছে ব্যাংকগুলো। কোনো ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ বড় অংকের ঋণ দেওয়া-নেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৭
এসই/আইএ