বুধবার (২৬ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করে এ নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশকে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের জুনে ২০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচি চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ খাতে ঋণ বিতরণে একই বছরের ০১ সেপ্টেম্বর ১২টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের অংশগ্রহণমূলক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, ব্র্র্যাক ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ওই পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচির আওতায় ঋণ বিতরণে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত নির্দেশনা অর্থাৎ ঋণ বিতরণের পর সংশ্লিষ্ট প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে মাসিক বিবরণী পাঠানোর বিষয়টিও যথাযথভাবে পরিপালন করা হচ্ছে না’।
‘কাজেই এ খাতে আবশ্যিকভাবে ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষে চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে অবিতরণকৃত সম্পূর্ণ অর্থ গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ করতে হবে’।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘ভবিষ্যতে শাখাওয়ারী নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা আবশ্যিকভাবে অর্জন করতে হবে। অংশগ্রহণকারী সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সহায়তায় প্রকৃত খামারিদের মাঝে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। ঋণ বিতরণের পর প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে মাসিক বিবরণী আবশ্যিকভাবে পাঠাতে হবে। বিতরণ করা ঋণের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে’।
গত বছরের জানুয়ারি মাসে দুগ্ধ উৎপাদন ও কৃত্রিম প্রজনন প্রকল্পের ঋণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে কয়েকজন ঋণগ্রহীতার হাতে চেক তুলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৭
এসই/আরআইএস/এএসআর