ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৬ সালের ৫ ডিসেম্বর রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক মো. নূরুজ্জামান, উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শওকত আলী খান, সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সাখাওয়াত হোসেন ও প্রিন্সিপাল অফিসার মো. জসিম উদ্দিন সরকারের সঙ্গে গুরুতর অসদাচারণ ও অশালীন আচরণ করেন সিবিএ নেতারা। এমনকি ওই কর্মকর্তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করেন তারা।
এর আগে ৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়।
ওই ঘটনার পর বুধবার (১২ জুলাই) ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সিবিএ সভাপতি ও মতিঝিল কর্পোরেট শাখার জুনিয়র অফিসার খন্দকার মোস্তাক আহাম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক ও প্রধান কার্যালয়ের সংস্থাপন ও কল্যাণ বিভাগের অফিস সহকারী (কেয়ারটেকার) মো. কাবিল হোসেন কাজী ও কাপ্তান বাজার শাখার অফিস সহকারী (কেয়ারটেকার) মো. আরমান মোল্লাকে কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না তা সাতদিনের মধ্যে জানতে চেয়ে নোটিশ দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও প্রধান কার্যালয়ের সংস্থাপন ও কল্যাণ বিভাগের ড্রাইভার মো. আবুল কালাম আজাদকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। আর স্থানীয় কার্যালয়ের অফিস সহকারী (কেয়ারটেকার) মো. আনোয়ার হোসেন, ভিজিলেন্স অ্যান্ড ইন্টিলিজেন্স বিভাগের অফিস সহকারী (কেয়ারটেকার) মো. মনিরুল ইসলাম, শিল্প ঋণ বিভাগের অফিস সহকারী (কেয়ারটেকার) মো. সাব্বির আহমেদ ভূঁইয়া ও স্থানীয় কার্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার (গ্রেড-১) আহসান হাবিবকে নিন্মপদে পদাবনতিসহ ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়েছে।
২০০৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিবিএ’র শাস্তির পর এটিই প্রথম কোনো রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠানের সিবিএ নেতার শাস্তির ঘটনা।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৭
এসই/জেডএস