৫২ চাকরিপ্রার্থীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (১৬ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
পরে জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, ২০১৫ সালের ০১ এপ্রিল অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড সিনিয়র অফিসারের (বিশেষ) শূন্য পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। ওই বছরের ০৮ মে অংশগ্রহণকারীর চেয়ে প্রশ্নপত্র কম থাকায় পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পরে একই বছরের ০৩ জুলাই ছয় হাজার প্রার্থীর অংশগ্রহণে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি লিখিত পরীক্ষার ফলাফলে ১ হাজার ৩৮৪ জন উত্তীর্ণ হন। যাচাই-বাছাই করে ১ হাজার ১৫৮ জনকে মৌখিক পরীক্ষায় মনোনীত করা হয়। একই বছরের ২২ মে থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ১ হাজার ২৬ জনের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে ৬৫৫ জনকে নির্বাচিত করা হয়।
পরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে শান্ত চন্দ্র চক্রবর্তীসহ ৫২ জন হাইকোর্টে রিট করেন। তাদের দাবি, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হওয়া সত্ত্বেও তাদের বাদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিদের নির্বাচিত করা হয়েছে।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
কিন্তু রুল শুনানির পর ০৬ ফেব্রুয়ারির আদেশে রিট আবেদনকারীরা মামলা চালাবেন না বলে অন্য এক আইনজীবীর তথ্যে হাইকোর্ট নিয়োগের ওপর স্থিতাবস্থা প্রত্যাহার করে নেন।
পরবর্তীতে এ আদেশ জানার পর আবেদনকারীরা আদেশ সংশোধনে হাইকোর্টে আবেদন জানান। সেটি খারিজ হলে আপিল বিভাগে আবেদন করেন তারা। আপিল বিভাগের আদেশ অনুসারে ফের হাইকোর্টে শুনানি হয়। সেখানেও আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এর বিরুদ্ধে আবেদনকারীরা আবার আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
রোববার আপিল বিভাগ ফের হাইকোর্টে রুল শুনানি করতে পক্ষগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
তিনি বলেন, এ আদেশের ফলে নিয়োগের ওপর আগের দেওয়া স্থিতাবস্থা বহাল রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
ইএস/এইচএ/এএসআর