মঙ্গলবার (১ আগস্ট) তৈরি করা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ঈদ-উল ফিতরকে কেন্দ্র করে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের শেষ মাস জুনে রেমিটেন্স এসেছে ১২১ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেছেন, বৈধপথে রেমিটেন্স আনার বিষয়ে প্রবাসীদের বিভিন্নভাবে সচেতন করা হচ্ছে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল রেমিটেন্স প্রেরণকারী শীর্ষ কয়েকটি দেশও ঘুরেছেন।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত অর্থবছরের জুলাইয়ে আগের অর্থবছরে তুলনায় রেমিটেন্স কমে ২৭ শতাংশ। আগের অর্থবছরে জুলাইয়ে রেমিটেন্স আসে ১৩৮ কোটি ডলার। ওই অর্থবছরের জুলাইয়ে আগের অর্থবছরে জুলাইয়ের তুলনায় রেমিটেন্স কম আসে ৭ শতাংশ। গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে রেমিটেন্স আসে ১৪৯ কোটি ডলার।
অবৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোর অজুহাতে বৈধপথে রৈমিটেন্স প্রবাহের নিম্নগতি রয়েছে গত দুই বছর ধরে। সরকার বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানো বাড়াতে নানা ধরনের উদ্যোগও নিয়েছে। চার্জ মওকুফসহ রেমিটেন্স গ্রহীতাদের সঙ্গে ভালো আচরণের পরামর্শ দিয়েছে ব্যাংকগুলোকে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিষয়টি তদারকি করছেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিভিন্ন সময় রেমিটেন্স কমার বিষয়ে নানা ধরনের কারণ তুলে ধরলেও বাড়ানোর নানা উদ্যোগের কথাও বলেছেন। সেই উদ্যোগ কিছুটা হলেও সুফল পেতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৭
এসই/এমজেএফ