বুধবার (২৩ আগস্ট) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ আশাবাদের কথা জানান।
মুহিত বলেন, চুরি হওয়া অর্থের একটি অংশ এরইমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। অর্থ উদ্ধারের মামলাটি বিচারাধীন এবং এ বিষয়ে একটি বিচার বিভাগীয় অনুমোদন প্রয়োজন। কিন্তু আমার ধারণা সবই উদ্ধার করা যাবে।
পুরো অর্থ উদ্ধারের আগে চুরির বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে না বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের কাছে জমা রাখা বাংলাদেশের রিজার্ভ থেকে সাইবার অপরাধীরা ১০১ মিলিয়ন চুরি করে নিয়ে যায়। এরমধ্যে প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার শ্রীলংকা থেকে উদ্ধার করা হয়। চুরির সিংহ ভাগ অর্থই ফিলিপাইনের ব্যাংকের মাধ্যমে স্থানান্তর করে একটি ক্যাসিনোতে জুয়া খেলায় ব্যবহার করা হয়।
এ ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ফিলিপাইনের আদালতের মাধ্যমে ১৫ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার করা হয়। সরকার এখন বাকি অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছে। সেখানে প্রায় ৬৬ মিলিয়ন টাকা রয়ে গেছে।
এদিকে, চুরি হওয়া রিজার্ভের টাকা পুনরুদ্ধারের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্স বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি সভা করেছে।
সূত্র জানায়, সভায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধি বাংলাদেশকে ফিলিপাইনের বিরুদ্ধে মামলা না করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশটির সরকারের করা দু’টি মামলা এখন বিচারাধীন। অর্থের একটি ছোট অংশ দুই মাসের মধ্যে উদ্ধার করা যেতে পারে বলেও সভায় বলা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে সম্পদ পুনরুদ্ধার করতে ১০-১২ বছর লাগে। কিন্তু বাংলাদেশ খুব অল্প সময়ের মধ্যে রিজার্ভের চুরির অর্থ পুনরুদ্ধার করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, ফিলিপাইনের কর্তৃপক্ষ অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে। ফিলিপাইনের কার্যক্রম কীভাবে এগোচ্ছে, তা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৭
এসই/এইচএ/