বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্টের জারিকৃত নির্দেশনার কপি সকল তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, তথ্য-প্রযুক্তি-নির্ভর ব্যাংকিং সেবার ওপর নির্ভরশীলতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকসমূহ অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম), পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), অনলাইন-ইন্টারনেট-ই-পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে তাদের গ্রাহকদের স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেন সম্পাদন করার সুবিধা প্রদান করছে।
এ ধরনের লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ঝুঁকি হ্রাস ও গ্রাহক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২ (সংশোধিত ২০০৩)-এর ৭ অ(ব), ব্যাংকিং কোম্পানি আইন ১৯৯১ (সংশোধিত ২০১৩)-এর ৪৯(১)(ঙ) ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারিকৃত ‘গাইডলাইন অন আইসিটি সিকিউরিটি ফর ব্যাংক অ্যান্ড নন ব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস’ এর আলোকে বিভিন্ন প্লাটফরম-এর তদারকি ও তত্ত্বাবধানে পূর্বে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন ও অন্যান্য নির্দেশনাসমূহ একীভূত করে এই নির্দেশনা জারি করা হলো।
কার্ড-ভিত্তিক লেনদেন পরিচালনাকারী সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে ইস্যুকৃত সকল কার্ডের অভ্যন্তরীণ আন্তঃব্যাংক লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ (এনপিএসবি) এর মাধ্যমে পরিচালনা-সম্পন্ন করতে হবে।
৩১-১২-২০১৭ তারিখের মধ্যে কার্ড-ভিত্তিক সকল ধরনের লেনদেন ব্যক্তিগত শনাক্তকরণ নম্বর (পিন) ভিত্তিক করতে হবে। এসএমএস এলার্ট সার্ভিসের মাধ্যমে কার্ড-ভিত্তিক সকল লেনদেনের তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে গ্রাহককে অবহিত করতে হবে।
কার্ড লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও লেনদেনের অবকাঠামোসমূহ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্নকরণের লক্ষ্যে ৩১-১২-২০১৮ তারিখের মধ্যে ব্যাংকসমূহকে পেমেন্ট কার্ড ইন্ডাস্ট্রি ডাটা সিকিউরিটি স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফাইড হতে হবে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত সকল ব্র্যান্ডেড কার্ড চিপ ও পিন যুক্ত হতে হবে; ইতঃপূর্বে ইস্যুকৃত এ ধরনের সকল ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ কার্ডসমূহকে ক্রমান্বয়ে এ প্রযুক্তিতে উন্নীত করতে হবে এবং ৩০-০৬-২০১৮ তারিখের মধ্যে এ প্রক্রিয়া পুরোপুরি সম্পন্ন করতে হবে।
লেনদেনের সময় বুথে কার্ড আটকে গেলে অফ আস লেনদেনের ক্ষেত্রে অধিগ্রহণ করা তা অকার্যকর করে কার্ডের তথ্য প্রদানকারী ব্যাংককে সরবরাহ করবে; তবে অনআস লেনদেনের ক্ষেত্রে কার্ড আটকে গেলে ইস্যুকারি ব্যাংক তা তাদের নিজস্ব অনুসৃত নিয়ম অনুযায়ী সমাধান করবে। উভয়ক্ষেত্রে গ্রাহকের আবেদন প্রাপ্তির ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ইস্যুকারি ব্যাংক তা নিষ্পত্তি করবে।
গ্রাহকের কার্ডের তথ্য ও পিন নম্বর কোনক্রমে আপস হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান-নিশ্চিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট অধিগ্রহণ ডিভাইসে (পিওএস মেশিন-এটিএম বুথ) ব্যবহৃত কার্ডসমূহ চিহ্নিত করে নিজ ব্যাংকের কার্ডসমূহের ক্ষেত্রে গ্রাহককে অবহিত করে কার্ডটি বাতিল করে যথাশীঘ্র গ্রাহককে নতুন কার্ড প্রদান করতে হবে।
গ্রাহক অন্য ব্যাংকের হলে সংশ্লিষ্ট কার্ড প্রদানকারী ব্যাংককে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি অবহিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করতে হবে। প্রোপ্রাইটরি কার্ড ইস্যু করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট হতে ব্যাংক শনাক্তকরণ নম্বর সংগ্রহ করতে হবে।
গ্রাহকদের কার্ড-ভিত্তিক লেনদেনে উৎসাহিত করার জন্য কার্ড ব্যবহারের সুবিধাসমূহ অবহিত করতে হবে।
কার্ড-ভিত্তিক লেনদেনের ঝুঁকি হ্রাসকল্পে সকল লেনদেনের ক্ষেত্রে যথাযথ সতর্কতা/গোপনীয়তা অবলম্বনসহ সঠিক উপায়ে কার্ড ব্যবহার বিধির চিত্র-সম্বলিত পোস্টার ব্যাংকের শাখায় প্রকাশ এবং গ্রাহক সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে হবে।
এছাড়াও বিভিন্ন চ্যানেল, পয়েন্ট অব সেল, অনলাইন-ইন্টারনেট-ইপেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন:
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ঘণ্টা, আগস্ট: ২৪, ২০১৭
এসই/এমজেএফ