ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

বেসরকারি ব্যাংকে পরিচালক নির্বাচনের পর অনুমোদন!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
বেসরকারি ব্যাংকে পরিচালক নির্বাচনের পর অনুমোদন!

ঢাকা: বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচনের পর এবং পদায়নের আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেওয়ার সুপারিশ করেছে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

একই সঙ্গে বলেছে, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালক নিয়োগের কোন পর্যায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে তাও স্পষ্ট করতে হবে।
 
বিদ্যমান আইনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পর্ষদের পরিচালক নিয়োগের আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের বিধানটি অস্পষ্ট বলে অভিহিত করেছে কমিটি।


 
২০১৬ সালের মার্চ মাসে বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের বিধান বাতিল চেয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে একটি আবেদন করেছিল বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)।
 
পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন বাতিল ছাড়াও আবেদেন একই পরিবার থেকে দু’জনের পরিবর্তে চারজন পরিচালক এবং দুই মেয়াদে ছয় বছরের পরিবর্তে আজীবন পরিচালক থাকার আবেদন করেছিল।
 
এবিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
 
ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ (সংশোধিত ২০১৩) এর ধারা ১৫ (৪) বলা হয়েছে, বিশেষায়িত ব্যাংক ব্যতীত অন্য যে কোনো ব্যাংক-কোম্পানিকে উহার পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিযুক্তি বা পদায়নের আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে এবং নিযুক্ত কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ছাড়া তার পদ হইতে অব্যাহতি দেওয়া, বরখাস্ত করা বা অপসারণ করা যাবে না।
 
বিএবির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের নেতৃত্বে সংগঠনের একটি প্রতিনিধিদল পরিচালকদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যাংক কোম্পানি আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনের জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে একটি আবেদন দেন।

বেশ কয়েকবার বৈঠক করে ওই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই তার‍া এর সমাধান চান। বিষয়টি সহজ না হওয়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের যৌথ সভায় কতিপয় ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়।
 
ব্যাংকের পরিচালকগণ সাধারণ ভাবে বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ার হোল্ডারদের ভোটে নির্বাচিত হন। মধ্যবর্তীকালে পরিচালকের পদ শূন্য হলে পরিচালনা পর্ষদের সভায় মনোনীত করা হয়। একই ভাবে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাও পর্ষদ কর্তৃক মনোনীত হয়ে থাকে। বিদ্যমান আইন মতে এদের নিয়োগের আগেই বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হয়।
 
সংসদীয় কমিটি বলেছে, পরিচালক বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের নিয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেওয়ার বিদ্যমান বিধানটি অস্পষ্ট বলে প্রতিয়মাণ হয়। পরিচালক বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের কোনো পর্যায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে তা আইনের সংশোধনের মাধ্যমে স্পষ্ট করতে হবে। একই সঙ্গে কমিটি পরিচালক নির্বাচন অথবা মনোনয়নের পর ক্ষেত্রমত নিযুক্তি বা পদায়নের আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেওয়ার বিধান রাখার প্রস্তাব করেছে কমিটি।
 
অর্থমন্ত্রীর কাছে করা বিএবির আবেদনের একই পরিবার থেকে পরিচালকের সংখ্যা দু’জন থেকে বৃদ্ধি করে চারজন এবং পরিচালকদের মেয়াদ দুই মেয়াদে ছয় বছর থেকে বৃদ্ধি করে ধারাবাহিকভাবে ৯ বছর করা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
এসই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।